আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অনিয়মিত ঋতুচক্র, প্রবল ওজনবৃদ্ধি থেকে মুখের অবাঞ্ছিত রোম, কিংবা অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যার নেপথ্যে থাকতে পারে পলিসিস্টিক ওভারি ডিজিজ। যা পিসিওডি নামে পরিচিত। বলিউডের সারা আলি খালি সোনম কপুর থেকে শুরু করে বর্তমানে অসংখ্য কিশোরী-তরুণীরা পিসিওএসের শিকার। হরমোনজনিত এই সমস্যা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি যৌনজীবনেও গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। যার কারণে ধীরে ধীরে সম্পর্কেও চিড় ধরার আশঙ্কা তৈরি হয়। 

* হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:যৌন স্বাস্থ্যের উপর পিসিওএসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল উচ্চ অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা। যা ব্রণ, অবাঞ্ছিত শরীরের লোম এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এই শারীরিক লক্ষণগুলি সঙ্গমের সময়ে যৌন আকাঙ্খা কমে যাওয়া, অস্বস্তি তৈরি করে। 
* যন্ত্রণাদায়ক সহবাসঃ পিসিওএসের কারণে অনেক মহিলার যোনি শুষ্কতা হয়, ফলে যৌনমিলন কষ্টকর ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই শারীরিক মিলন এড়িয়ে চলেন যার প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। 
* বন্ধ্যাত্বঃ বন্ধ্যাত্বের একটি প্রধান কারণ পিসিওএস। যা মানসিক চাপ তৈরি করে। পরবর্তীকালে যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং সন্তুষ্টিতেও প্রভাব ফেলে।
* মানসিক চাপঃ পিসিওএসের কারণে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে যা যৌন জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

সামাধান কীঃ

* প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করান।
* মানসিক চাপ কমাতে কৌশন অবলম্বন করুন। 
* জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন যেমন নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকপ খাবার খান। 
* সঙ্গীর সঙ্গে যে কোনও সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন।