আজকাল ওয়েব ডেস্ক: গুড়ের নাম শুনলেই শীতকাল মনে পড়ে।সঙ্গে গুড়ের পায়েস, গুড়ের সন্দেশ এমনকি গুড়ের নাড়ু থেকে শুরু করে তালিকা কিন্তু বেশ দীর্ঘ।তবে শুধুমাত্র শীতে নয়, সারাবছরই সুস্থ থাকতে চাইলে আপনি গুড় খেতে পারেন। প্রচুর উপকারী খাদ্য গুনাগুনের তালিকায় রয়েছে এই এক টুকরো মিষ্টি।গুড় হল অত্যন্ত উপকারী একটি মিষ্টি খাবার।তাই নিয়মিত এই খাবার পাতে রাখলে একাধিক রোগব্যাধির ফাঁদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গুড়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও গ্লাইকোলিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে দেয়।দাগছোপহীন স্বচ্ছ ত্বক পেতে অতিরিক্ত কোন প্রসাধনীর প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া ভারী খাবার খাওয়ার পর সামান্য পরিমাণে গুড় খেলে শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রাখে।অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও শরীরের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ করে।গুড় খেলে দেহে উপস্থিত সমস্ত খারাপ উপাদান বাইরে বেরিয়ে যায়।সুস্থ সবল থাকবেন আপনিও।তাই ছোট-বড় ক্রনিক রোগের ফাঁদ এড়াতে চাইলে প্রায়দিন গুড় চেখে দেখতেই হবে।
গরমকালে ছোটবেলা স্কুল থেকে ফিরে এসে মায়ের হাতের গুড়ের শরবত খেলেই ক্লান্তি এক লহমায় কেটে যেত।সেই টোটকার ম্যাজিক কিন্তু আজও চলছে।গরমে খুব ক্লান্ত লাগলে বাড়ি এক গ্লাস জলে সামান্য একটু গুড় দিয়ে শরবত তৈরি করে নিন। চাইলে সেই পানীয়ের মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।গরম থেকে ফিরে এই পানীয় খেলে ক্লান্তি উধাও হবে নিমেষে।কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই শরবত।
বেশিরভাগ মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা যায়।এই সমস্যা নিরাময়ে সামান্য পরিমাণ গুড় রোজ খেতে পারলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।শরীরকে সুশীতল ও হাইড্রেটেড করে গুড়ের গুণ৷ শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে।ডিহাইড্রেশন হতে আটকায়। ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে মজবুত করে।জলশূন্যতার জন্য পেশিতে ক্র্যাম্প হয় না।
