আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যস্ততার জীবনে অন্য কোনও শরীরচর্চা করার সময় না থাকলেও প্রতিদিন হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটা হল সুস্থতার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী এক্সারসাইজ। নিয়মিত হাঁটাহাঁটিতে শরীর-মন দুই ভাল থাকে। তবে জানেন কি শুধু সোজাভাবে হাঁটা নয়, পিছনের দিকে হাঁটাও শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ছোটবেলায় খেলার ছলে পিছনের দিকে হাঁটতেন মনে আছে? বড় বয়সেও এমনটা করলে মিলবে হাজার উপকার। শুনতে খানিকটা অদ্ভুত লাগলেও পিছন দিকে হাঁটা এক ধরনের শরীরচর্চা। যার পোশাকি নাম ‘রেট্রো ওয়াকিং’। জেনে নেওয়া যাক উল্টোভাবে হাঁটলে কী কী উপকার পাবেন-
পিছনে হাঁটলে পায়ের সঞ্চালন অন্যভাবে হয়। ফলে পায়ের পেশির জোর বাড়ে, পেশি মজবুত হয়। পিছনে পা ফেলতে গেলে ঊরুর চারটি প্রধান পেশির মধ্যে দুটিকে একটু বেশি কাজ করতে হয়। ফলে পায়ের পেশির শক্তি বাড়ে এবং পায়ের ওপর শরীরের অতিরিক্ত চাপ সয়ে যায়।
বয়স বাড়লে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পিছন ফিরে হাঁটা শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে উল্টো হাঁটার অভ্যাস করলে এই সমস্যা কমতে পারে।
সামনে হাঁটতে শরীর যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ করে, পিছনে হাঁটতে এর থেকে তুলনামূলক বেশি ক্যালরি খরচ হয়। পিছনে মনোযোগ দেওয়ায় এবং হাঁটতে গিয়ে শরীর বেশি শক্তি খরচ করে। যার প্রভাব পড়ে বাড়তি ক্যালরি খরচে। তাই ওজন ঝরাতে চাইলেও এই অভ্যাস করতে পারেন।
পেছনে হাঁটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এতে শরীরের সঙ্গে মনের সমন্বয় হয়। সামনে হাঁটলে আশপাশের প্রতিটা জিনিস পুঙ্খনাপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়। কিন্তু পেছনে হাঁটতে গেলে ওই মনোযোগ থাকে পুরোটাই শরীরের ওপর। ফলে দ্রুত শরীর ও মনের সমন্বয় ঘটে।
তবে সোজা হাঁটা যতটা সহজ, উল্টো হাঁটা কিন্তু ততটা নয়। তাই ধীরে ধীরে পিছনের দিকে হাঁটার অভ্যাস করুন। যাদের পা বা হাঁটুতে সমস্যা রয়েছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পিছনে না হাঁটাই শ্রেয়। একইসঙ্গে পিছনে হাঁটার জন্য শরীরের ব্যালেন্সও ভাল হতে হবে। পায়ের সমস্যা থাকলে এই ব্যালেন্স রাখা কঠিন। সেক্ষেত্রে পড়ে গিয়ে আঘাত লাগার আশঙ্কাও রয়েছে।
