আজকাল ওয়েবডেস্ক: চোখ সৌন্দর্যের একটি অন্যতম অংশ। মায়াবী নয়নের চারধারে যদি কালো দাগ পড়ে, তাহলে সৌন্দর্যের ব্যাঘাত ঘটে বই কী! আজকাল ত্রিশ পেরতে না পেরতেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর বয়স বাড়লে তো কথাই নেই। আধুনিক জীবনের জাঁতাকলে ক্রমশ চোখের ধারে বাড়ছে ডার্ক সার্কল।
ত্বকের রঙের গাঢ়ত্ব নির্ভর করে মেলানিন নামক একটি রঞ্জকের উপর। যার যত বেশি মাত্রায় মেলানিন থাকবে, তার ত্বক তত কালচে হবে। চোখ এবং চুলের রং কালো হওয়ার পিছনেও ভূমিকা রয়েছে এই রঞ্জকের। অনেকের চোখের চারপাশে এই রঞ্জক অনেকটা বেশি পরিমাণে জমা হয় তাই সেই নির্দিষ্ট জায়গার ত্বকের রং গাঢ় খয়েরি হয়ে যায়। যা ডার্ক সার্কল হিসাবে দেখা দেয়। যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই ডার্ক সার্কল খুব অস্বস্তিকর। চোখের তলায় কালির পিছনে বেশ কয়েকটি সাধারণ কারণ থাকে। যা হল-
• চোখের চারদিকের অতি সূক্ষ্ম রক্তনালি সরু হয়ে যাওয়া ও কোলাজেন টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এই সমস্যার মূল কারণ।
• অনিদ্রা অর্থাৎ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সাধারণত ডার্ক সার্কল পড়ার আশঙ্কা থাকে।
• হঠাৎ করে অনেকটা ওজন কমে গেলে শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন হয়। ফলে ডার্ক সার্কল দেখা দিতে পারে।
• 'অ্যা টোপিক ডার্মাটাইটিস' নামক এক ধরনের অ্যালার্জিও চোখের তলায় কালি পড়ার কারণ হতে পারে।
• শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য শরীরে জলের প্রয়োজন। শরীরে জলাভাব তৈরি হলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমার পাশাপাশি চোখের উপর-নীচে কালি পড়তে পারে।
• অনেকেরই জন্ম থেকে চোখের নীচের চামড়া বেশ পাতলা হয় বা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইপার পিগমেন্টশনের সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে ঘুম হোক বা না হোক, ক্লান্তি না থাকলেও, চোখের চারপাশে কালো ছোপ উঠতেই চায় না।
এ তো গেল সাধারণ কারণ। আসলে অনিদ্রা বা হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়াটা কিন্তু হাইপোথাইরয়েডিজম, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের পূর্বাভাস হতে পারে। রক্তাল্পতা হলে ত্বকের কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন বেড়ে যায়। আর কিছু জায়গায় পিগমেন্টেশন কমে গিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। ফলে চোখের তলায় কালি আরও স্পষ্ট বোঝা যায়। এছাড়া চোখে কোনও আঘাত লাগলেও এমন হতে পারে।
