আজকাল ওয়েব ডেস্ক:    সকালে অফিস বেরোনোর তাড়ায় পেট ভরে জলখাবার খাওয়ার সময় থাকে না। দুপুরের লাঞ্চটাও করতে হয় কাজের ব্যস্ততায়। বিকেলে ফেরার পথে হালকা খিদে জানান দেয়।রোজ নিজের জন্য কিছু আলাদা করে বানাতেও সময়ের দরকার।সন্ধ্যেবেলায় খিদে মেটাতে চটপাটা ও নোনতা কিছু হলে মন্দ হয় না।একদিন সময় করে বানিয়ে যদি মাস দুয়েক স্টোর করে রাখা যায় তবে মন্দ কি?হাই প্রোটিন এই রান্নায় পেটও ভরবে, শরীরের জন্যও ভীষন উপকারি।

উপকরণ: 

পাতলা চিঁড়ে ৫০০ গ্ৰাম।

ওটস ৫০০ গ্ৰাম

সাদা তেল ২চামচ

কাঁচা বাদাম এক কাপ 

কাজু ৫০ গ্ৰাম

আমন্ড ৫০ গ্ৰাম

ফ্ল্যাক্স সিড ৫০গ্ৰাম

সূর্যমুখী বীজ ৫০ গ্ৰাম

কুমড়োর বীজ ৫০ গ্ৰাম

সাদা তিল ৫০ গ্ৰাম

কালো সর্ষে ২৫ গ্ৰাম

কারিপাতা ১০-১২টি

নুন স্বাদ মতো

পাউডার চিনি

জিড়েগুঁড়ো 

আমচূর পাউডার 

লঙ্কারগুঁড়ো 

 

পদ্ধতি: একটি ফ্রাইপ্যানে ওটস দিয়ে শুকনো খোলায় দশ মিনিট ভেজে নিন। আলাদা পাত্রে ওটস সরিয়ে রাখুন।এবার সেই পাত্রেই পাতলা সাদা চিঁড়ে দিয়ে হালকা করে ভেজে নিন। চিঁড়ে ও ওটস একটু মুচমুচে হয়ে যাওয়ার মানে ভাজা হয়ে গেছে।

এবার ওই ফ্রাইপ্যানে দুই চামচ সাদা তেল দিন।গরম হয়ে গেলে কালো সর্ষে ও কারিপাতা ফোড়ন দিন।এক বাটি বাদাম দিন।বাদাম ভাল মত ভাজা না হওয়া পর্যন্ত লো ফ্লেমে নাড়তে থাকুন।এবার একে একে সূর্যমুখী বীজ, কাজুবাদাম ,কুমড়োর বীজ ও ফ্ল্যাক্স সিড দিন। অনেকক্ষণ নেড়ে নিয়ে সবশেষে সাদা তিল দিন। কারণ সাদা তিলকে খুব বেশিক্ষণ ভাজার দরকার নেই। সমস্ত উপকরণগুলো হালকা ভাজা হয়ে গেলে আগে থেকে ভেজে সরিয়ে রাখা চিঁড়ে ও ওটস দিয়ে দিন। উপরে এবার সব মশলা দিন। স্বাদ মতো নুন, গুঁড়ো করে রাখা চিনির পাউডার,জিড়েগুঁড়ো, লঙ্কারগুঁড়ো, আমচূর পাউডার ও চাট মশলা ছড়িয়ে দিন।সমস্ত উপকরণ দশ মিনিট ভেজে নিতে হবে। মুচমুচে হয়ে গেলে কিসমিস ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

এই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবারটি আপনি তিন মাস পর্যন্ত স্টোর করে রাখতে পারবেন।অফিসে নিয়ে যান বা সন্ধেবেলায় বাড়ির সকলের সঙ্গে চা ও 'টা' ভাল জমে যাবে।