আজকাল ওয়েবডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনের ঝঞ্ঝাট, গিন্নির বকুনি বা সন্তানদের অবিরাম হুটোপাটি থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে চান? আধুনিক পুরুষদের জন্য সেরা ঠিকানা এখন আর বারান্দা বা ছাদ নয়, বরং বাড়ির শৌচাগার! অবিশ্বাস্য মনে হলেও, সম্প্রতি ব্রিটেনে হওয়া একটি সমীক্ষা ঠিক এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এক হাজার পুরুষের উপর চালানো এই সমীক্ষার ফলাফল বলছে, পুরুষেরা বছরে গড়ে সাত ঘণ্টা শৌচাগারে কাটাচ্ছেন শুধুমাত্র একটু ‘একলা’ থাকার জন্য।
সমীক্ষা অনুযায়ী, শৌচাগারে এই অতিরিক্ত সময় কাটানোর মূল কারণ হল নিছক বিশ্রাম বা নিজেকে দৈনন্দিন চাপ থেকে দূরে রাখা। বাড়ির কাজ এড়ানো হোক বা স্ত্রীর সঙ্গে ছোটখাটো তর্ক এড়িয়ে যাওয়া, শৌচাগারের বন্ধ দরজাটিই হয়ে উঠেছে তাঁদের ব্যক্তিগত ‘এস্কেপ পড’ বা মুক্তির ঠিকানা। সমীক্ষাটি আরও জানাচ্ছে, পুরুষেরা যেখানে দিনে গড়ে ১৪ মিনিট শৌচাগারে কাটান, সেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সময়টা মাত্র ৮ মিনিট।

আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
আরও পড়ুন: ১২ জন স্ত্রী! বাচ্চা করাই নেশা! ১০২ সন্তানের বাবা হয়ে অবশেষে থামলেন ৬৮-র মুসা, কেন ক্ষান্ত দিলেন? কী বললেন এ যুগের ধৃতরাষ্ট্র?

তবে এই নির্জন আশ্রয়ও যে সব সময় নিষ্কণ্টক থাকছে, এমন কিন্তু নয়। সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রতি দশ বারের মধ্যে অন্তত এক বার পুরুষদের এই ‘একান্ত মুহূর্তে’ বাধা পড়ে। বছরে যার গড় সংখ্যা দাঁড়ায় ১৭১ বার। সমীক্ষাকারী সংস্থার এক সমীক্ষকের কথায়, “প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত সময়ের প্রয়োজন হয়। কখনও একটু ভাবার জন্য, কখনও বাইরের সব কিছু থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার জন্য। শৌচাগার আজকাল সেই নির্জনতার এক আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। যাকে বলে প্র্যাকটিকাল সলিউশন।”
গবেষকদের মতে, এই আধুনিক প্রবণতার পিছনে বড় ভূমিকা পালন করছে প্রযুক্তি। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশ পুরুষ স্বীকার করেছেন যে তাঁরা শৌচাগারে বসে ফোন ব্যবহার করেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬৯ শতাংশ। শৌচাগারে বসে ফোন ঘাঁটা, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রোল করা, মেসেজ পাঠানো থেকে শুরু করে জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কাজও সারছেন অনেকে।
আশ্চর্যজনকভাবে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন যে তাঁরা জীবনের বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি শৌচাগারে বসেই নিয়েছেন। অর্থাৎ, চিরাচরিত বোর্ডরুমের ধারণা বদলে গিয়ে শৌচাগারই হয়ে উঠছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নতুন জায়গা। সমীক্ষকরা মজার ছলেই জানাচ্ছেন, পরের বার বাড়ির পুরুষ সদস্যটিকে শৌচাগারে বেশি সময় কাটাতে দেখলে অবাক হবেন না। কে বলতে পারে, হয়তো অফিসের বড় কোনও ডিলের সিদ্ধান্তটা ওই শৌচাগারের ভিতর থেকেই নেওয়া হচ্ছে!