আজকাল ওয়েব ডেস্ক: সারাদিন ঘরে-বাইরে হাড় ভাঙা খাটুনির পর বিছানায় শুলেই নাক ডাকছেন। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা বাদে ভেঙে যাচ্ছে ঘুম। রোজই প্রায় একই পরিস্থিতি। অনেক চেষ্টা করেও ঘুম আর আসে না। বেশ অনেকক্ষণ এপাশ ওপাশ করে শেষমেশ সেই মোবাইলের নীল আলোয় খানিক খুটখুট করার অভ্যেস! ব্যস, ঘুমের আরও বারোটা বেজে গেল। আজকাল এই সমস্যায় ভুক্তভোগী অনেকেই।
হঠাৎ করে কোনও শব্দ শুনে বা অস্বস্তির কারণে অনেক সময়ে ঘুম ভেঙে যায়। কখনও কখনও ঘুমের মধ্যে বুক ধড়ফড় করেও উঠে বসেন অনেকে। কারও কারও আবার রোজই একটি নির্দিষ্ট সময়েই ঘুম ভাঙে। আর ঘুম ভাঙার পর মাথায় এসে ভিড় করে রাজ্যের চিন্তা।
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুমের মাধ্যমে শরীর নিজেকে সারিয়ে নিতে পারে। গোটা দিন ধরে আপনার শরীরে যেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল তা ঘুমের মধ্যেই খুঁজে ঠিক হয়। তাই তো পরেরদিন উঠে আমাদের নিজেকে ফ্রেশ মনে হয়। ফলে ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীরের নানান ঝুঁকি তৈরি হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়াটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ মারাত্মক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যায় আক্রান্ত হন মহিলাদের। প্রধানত শ্বাস প্রঃশ্বাসে বাধা পাওয়ার কারণেই ঘুম ভেঙে যায়। এর ফলে ব্যথা, অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অস্বস্তি, ট্রমা, গা গরম অথবা খুব ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙার সমস্যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে। সমীক্ষা বলছে, ঘুম ভাঙার এই সমস্যা বাড়তে শুরু করার অর্থ হার্ট এবং রক্ত চলাচলের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। এছাড়াও নিয়মিত ঠিক মতো ঘুম না হলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। ওজন বেড়ে যেতে পারে। সারা দিনের কাজের এনার্জি থাকে না।
ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটানোর কয়েকটি কৌশল রয়েছে সেগুলি একটু মেনে চললেই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। যেমন প্রতিদিন শরীরচর্চা করলে রাতে ভালো ঘুম হয়। প্রয়োজন নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারেন। রাতে চা, কফি কম খেতে হবে। শব্দহীন ঘরে ঘুমান। আয়ুর্বেদিক ম্যাসাজ, যোগাসন ইত্যাদির সাহায্যেও ঘুম ভাল হয়। তবে সবচেয়ে আগে প্রয়োজন মানসিক শান্তি। উদ্বেগ, অবসাদ, চিন্তা ইত্যাদি থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে বাধ্য। সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
