আজকাল ওয়েবডেস্ক: অফিসে ১০ টায় ঢুকে কেউ বেরোচ্ছেন রাত ৯-১০ টায়। বাড়ির আরাম কেদারায় কোমর হেলাতেই ফের বসতে হচ্ছে ল্যাপটপ নিয়ে। সপ্তাহে ৫-৬ দিন তো বটেই, কারওর ক্ষেত্রে ছুটির দিনেও একেবারে তলানিতে ঠেকেছে ব্যক্তিগত জীবন আর কাজের ভারসাম্য। বাড়ছে শারীরিক ও মানসিক রোগ, কমছে কাজের মানও। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫৯% ভারতীয় কর্মী কর্মক্ষেত্রে খুশি নন। গোটা বিশ্ব জুড়ে এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। ফলে ক্রমশ অল্প বয়স থেকেই ঘিরে ধরছে অবসাদ, মানসিক ক্লান্তি। এই চক্রব্যূহ থেকে বেরিয়ে আসতে চান সকলে, কিন্তু আক্ষরিক অর্থে তা অনেক সময়েই সম্ভব হয় না। কিন্তু মানসিক সুস্থতার সঙ্গে তো কোনও রকম আপসও করা যায় না। তাহলে কীভাবে অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাবেন? জেনে নিন-
একসঙ্গে অনেক কাজ নেবেন না। কারণ সব কাজ শেষ করতে না পারলে তা আরও বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই যতটা আপনার ক্ষমতা, ঠিক ততটাই দায়িত্ব নিন। এতে সময় মতো কাজ শেষ করতে পারবেন। ফলে অনেক চাপমুক্ত থাকবেন।
টানা কাজ করার মাঝে খানিকটা বিরতি নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। কাজের বাইরে গল্প করার চেষ্টা করুন। এনার্জির জন্য ব্ল্যাক টি অথবা ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। অফিসের চেয়ার ছেড়ে খানিকটা বাইরের মুক্ত বাতাস লাগান।
হঠাৎ অনেকটা কাজের চাপ এসে গেলে অস্থির হবেন না। এতে কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শ্বাসের কিছু সহজ ব্যায়াম করতে পারেন। বড় শ্বাস নিয়ে তারপর খানিকক্ষণ ধরে রেখে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এই পুরো পদ্ধতিটা দশ বার করুন। এতে আমার হৃদযন্ত্রের উপর চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা কাটবে। ১০ থেকে ১ উল্টোভাবে বার বার গুনলেও মন শান্ত হবে।
যতই কাজ থাকুক ঘুমের সঙ্গে আপোস করলে চলবে না। কাজের চাপ যেন কোনও মতেই ঘুমের উপর প্রভাব না ফেলে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে শুধু মানসিক স্বাস্থ্য নয়, শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।
কাজের নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন। এতে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে সুবিধা হবে। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সময় রাখতে হবে। নিজেকে সময় দিন। গান শোনা, গান গাওয়া, শরীরচর্চা, বই পড়া—কর্মক্ষেত্র ছাড়াও সারা দিনে পছন্দের যে কোনও ধরনের কাজ করুন।
