আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আগামীকাল ৩১ অক্টোবর কালীপুজো। ঠিক তার আগের দিন আজ বুধবার হল ভূত চতুদর্শী। দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে চতুর্দশী তিথিতে হিন্দু মতে ভূত চতুর্দশী পালন করা হয়। ভূত অর্থাৎ অতীত এবং চতুর্দশী অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের ১৪ তম দিন। পিতৃ এবং মাতৃকুলের সাত পুরুষের উদ্দেশ্যে এদিন গৃহস্থ বাড়িতে জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ। একইসঙ্গে এইদিনে রীতি রয়েছে ১৪ শাক খাওয়ারও।

ভূত চতুর্দশীর দিন চোদ্দ শাক খাওয়ার রীতি বাঙালির বহু পুরনো। অনেক বাঙালি বাড়িতে চোদ্দ শাক রান্না হয়৷ যার পিছনে যেমন একাধিক পৌরাণিক কারণ লুকিয়ে রয়েছে, তেমনই এই ১৪ শাকের স্বাস্থ্যগুণও অনেক৷  এই ১৪ শাকের তালিকায় রয়েছে সর্ষে, পালং, লাল নটে, গিমা, পুঁই, কলমি, পাট,মূলো, বেতো, হিঞ্চে, নটে, শুষনি, মেথি৷এর মধ্যে লিভার ও হার্ট ভাল রাখতে কলমি শাকের জুড়ি মেলা ভার৷ অন্যদিকে, রোগ প্রতিরোধকারী ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে পুঁই শাকে৷

শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায় লাল নটে শাক৷ রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে এই শাক অত্যন্ত উপকারী৷ এছাড়াও, এতে রয়েছে একাধিক অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম৷ লাল শাকে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদানও৷ আবার গিমা শাক লিভারের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সর্দিকাশি, কফের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়৷ জ্বরের পরে খাবারে অরুচিও কাটে এই শাক খেলে৷

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ও সর্দি-কাশিতে পাটশাক খুই উপকারী৷ মূলোর শাক খেলে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পালং শাকও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে৷ তবে এই শাকে অতিরিক্ত মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে। পালং শাকে বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাবনয়েড রয়েছে৷ আর সরষে শাক শরীরে ‘ভাল’ কোলেস্টেরল বাড়ায়, সুস্থ রাখে হৃৎপিণ্ড সুস্থ৷

হিঞ্চে শাক শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ রক্তাল্পতা রোধেও এই শাক কার্যকরী। বেতো শাক যে কোনও রকমের ব্যথার উপশম করতে খুব কার্যকরী৷অন্যদিকে, মেথি শাক কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্ট ভাল রাখে, হজমের সমস্যাও দূর করে৷ নোটে শাক ক্যালসিয়ামে ভরপুর, খাবারের অরুচি কটায়৷