আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরের প্রতিটি জিনিসের সঠিক স্থান এবং তার থেকে উৎপন্ন শক্তি ঘরের পরিবেশ ও সদস্যদের উপর প্রভাব ফেলে। তাই ঠিক জায়গায় ঠিক জিনিস রাখা চাইই চাই। অনেকেই এই ধরনের বিষয়কে বুজরুকি বলে মনে করেন। কিন্তু যাঁরা বিশ্বাস করেন তাঁদের জন্য বিভিন্ন জিনিস জায়গা মতো রাখা খুবই জরুরি। এমনি জুতোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাস্তুমতে জুতো আমরা বাইরে পরে যাই, তাই জুতো ধুলোবালি ছাড়াও অনেক সময় বাইরের নেতিবাচক শক্তিও বহন করে আনতে পারে বলে মনে করা হয়। এই শক্তির প্রভাব কাটাতে জুতোর কাছে কর্পূর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।
* নেতিবাচক শক্তি দূরীকরণ: কর্পূরকে একটি শক্তিশালী শুদ্ধিকারক বস্তু হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, জুতোর কাছে কর্পূর রাখলে তা জুতোর সঙ্গে ঘরে প্রবেশ করা নেতিবাচক শক্তি বা অশুভ প্রভাবকে শোষণ করে বা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে ঘরের ভেতরের শক্তি প্রবাহ শুদ্ধ থাকে।
* বাতাস পরিশোধন ও দুর্গন্ধ নাশ: কর্পূরের একটি তীব্র ও সতেজ গন্ধ আছে। এটি জুতোর র্যাক বা জুতোর রাখার জায়গায় রাখলে তা জুতোর দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে এবং আশেপাশের বাতাসকে তুলনামূলকভাবে সতেজ রাখে।
* পোকামাকড় তাড়ানো: কর্পূরের গন্ধ পোকামাকড়, বিশেষ করে পিঁপড়ে বা ছোট কীটপতঙ্গকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই জুতোর জায়গায় কর্পূর রাখলে সেই স্থানটি পরিষ্কার রাখতে সুবিধা হয়।
* শান্তি ও ইতিবাচকতা: ঘরের পরিবেশ থেকে নেতিবাচকতা দূর হলে স্বাভাবিকভাবেই ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। কর্পূর সেই কাজটি করায় ঘরের সদস্যদের মধ্যে মানসিক শান্তি ও সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
তবে মাথায় রাখবেন বাস্তু এমন একটি বিষয় যা অনেকটাই মানুষের বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। এই ধারণার সাফল্য বা বিফলতা আজকাল ডট ইন যাচাই করেনি।
