আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ এখন সন্তানধারণের জন্য কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির উপর ভরসা রাখছেন। কিন্তু এবার এক যুবক এমন দাবি করলেন যা চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বের নেটিজেনদের। জাপানের ৩৮ বছর বয়সি যুবক হাজিমের দাবি, তিনি যে কোনও নারীকে সন্তানধারনে সাহায্য করতে প্রস্তুত। এমনকী শুধু শুক্রাণু দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে নয়, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে অর্থাৎ সঙ্গমের মাধ্যমে সন্তান দিতেও আপত্তি নেই তাঁর।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
জাপানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাজিমে জাপানের হনসু দ্বীপের বাসিন্দা। জাপানের বন্দরনগর ওসাকাতে একটি অফিসে চাকরি করেন তিনি। সন্তানধারণের বিষয়ে তাঁর এই আগ্রহের সূচনা বছর পাঁচেক আগে। সে সময় তাঁর এক বন্ধু তাঁকে জানান, তিনি সন্তানধারণে অক্ষম। সেই শুরু। ওই বন্ধুকে সন্তান দিতে প্রথমবার শুক্রাণু দান করেন হাজিমে। একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই একথা জানিয়েছেন যুবক। হাজিমে বলেন, “ও আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু। আমায় জানায় ওর শুক্রাণুর পরিমাণ খুবই কম। তাই ওরা কোনও ভাবেই সন্তান নিতে পারছে না। তারপরই ও আমাকে প্রস্তাব দেয় ওর স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করার। যাতে ওর সন্তানের চাহিদা পূরণ হয়।”
হাজিমের দাবি, প্রস্তাব শুনে তিনি একেবারেই চমকে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন বন্ধ্যাত্ব নিয়ে পড়াশোনা করার পর তিনি বুঝতে পারেন সত্যিই কতটা গুরুতর এই সমস্যা। তার পর তিনি বন্ধুর প্রস্তাবে রাজি হন। তবে বন্ধু টাকা পয়সা দিতে চাইলেও এই কাজের জন্য কোনো অর্থ নেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত এক বছর পর সন্তান লাভ করেন ওই দম্পতি। এবং সন্তানের মা বাবার সমস্ত দায়িত্ব তাঁরাই পালন করার অঙ্গীকার করেন
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
হাজিমে জানান, নিজের সন্তানকে অন্যের হাতে দেখে প্রথমে তাঁর মনে কিছুটা সংশয় কাজ করছিল। কিন্তু যখন তিনি দেখেন শিশুটিকে নিয়ে তাঁরা কতটা খুশি তখন তিনি চিন্তামুক্ত হন। হাজিমের এই নিঃস্বার্থ কাজের জন্য বারংবার তাঁকে ধন্যবাদ দেন তাঁর বন্ধু। আর এর পরেই বিষয়টি নিয়ে তাঁর মনোভাব বদলে যায়। তিনি স্থির করেন এভাবে আরও বহু মানুষকে সহায়তা করবেন তিনি। সেই লক্ষ্যে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল খোলেন। সেখানে নিজেকে শুক্রাণু দাতা হিসাবে পরিচয়ও দেন। স্বাস্থ্য সচেতনতার সঙ্গে কোনও রকম আপোস করেন না তিনি। যাতে গ্রহীতারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন তার জন্য তিনি নিয়মিত নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আপলোড করেন। এই কাজে তাঁর মাসে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
বর্তমানে হাজিমে শুক্রাণু দাতা হিসাবে বেশ পরিচিত। তিনি শুক্রাণু দানের জন্য কোনও টাকা নেন না। শুধু যেখানে যেতে হবে তার ভাড়া দিলেই তিনি খুশি। হাজিমে জানিয়েছেন বহু মহিলা তাঁর শরণাপন্ন হয়েছেন সন্তান লাভের আশায়। কাউকেই হতাশ করেননি তিনি। তাঁর আরও দাবি প্রথম দিকে তাঁর সঙ্গে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগা দম্পতিরাই যোগাযোগ করতেন। কিন্তু ক্রমেই বাড়তে থাকে সেই বৃত্ত। ক্রমে মহিলা সমকামী দম্পতিরাও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। এছাড়াও যে মহিলারা সারাজীবন একা থাকতে চান, বিয়ে করতে চান না, তাঁরাও তাঁর সাহায্য নেন।
