আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভালো ঘুম শুধু মনকে শান্ত করে না, শরীরেরও সার্বিক সুস্থতার চাবিকাঠি। তবে শুধু ঘুমালেই হবে না, ঘুমের ভঙ্গিটাও হতে হবে সঠিক। কারণ, কোন ভঙ্গিতে আপনি ঘুমোচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে আপনার ঘুমের গুণমান এবং শরীরের আরাম। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপুড় হয়ে ঘুমানো একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়—বরং হতে পারে বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার কারণ।
একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন—উপুড় হয়ে ঘুমালে মেরুদণ্ড, ফুসফুস, অন্ত্র ও কোমরের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। এর ফলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে, শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যাহত হয়, এবং ত্বকেরও ক্ষতি হয়। এই অবস্থায় দীর্ঘ সময় ঘুমালে ঘুমের গুণমান কমে যায়, বিশ্রাম হয় না ঠিকমতো—ফলে ঘুমের ঘাটতি থেকে দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা, ক্লান্তি ও মনোযোগের অভাব। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উপুড় হয়ে ঘুমালে মুখের ত্বক বিছানার সঙ্গে চাপ খায় দীর্ঘক্ষণ। এর ফলে ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে পড়ে এবং স্বাভাবিক জৌলুস হারায়। অনেক সময় এতে ব্রণ বা ত্বকের ক্ষত তৈরির ঝুঁকিও বাড়ে।
তাহলে কোন পজিশন উপযুক্ত?
চিকিৎসকরা বলছেন, সবচেয়ে ভালো ঘুমের ভঙ্গি হলো পাশ ফিরে শোয়া। বিশেষ করে বাম দিকে পাশ ফিরে ঘুমালে হজম, হৃদযন্ত্রের কাজ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। চিৎ হয়ে ঘুমানোও তুলনামূলকভাবে ভালো, তবে যাঁদের পিঠে ব্যথার সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে তা কিছুটা সমস্যার হতে পারে।
সঠিক ঘুমের ভঙ্গির জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ:
অতিরিক্ত উঁচু বালিশ ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
পিঠ বা কোমরে ব্যথা থাকলে কোমরের নিচে বা হাঁটুর মাঝে কুশন রাখতে পারেন
শোবার ঘর যেন শীতল, নিঃশব্দ ও অন্ধকার হয়
একই ভঙ্গিতে দীর্ঘক্ষণ না শুয়ে মাঝেমধ্যে ঘুমের অবস্থান পরিবর্তন করুন
ঘুম যেন হয়ে না ওঠে অসুস্থতার কারণ। তাই উপুড় হয়ে আরামে শরীর ছেড়ে দিয়ে ঘুমালেও, তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বুঝে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। সুস্থ ঘুম, সুস্থ জীবন—এই বার্তাই দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
