আকাশে-বাতাসে দুর্গাপুজোর সুর। আজ পঞ্চমী। আগামিকাল দেবীর বোধন। এবার সপ্তাহান্তে পঞ্চমী-ষষ্ঠী পড়ায় অনেকেরই বাড়তি ছুটি মিলেছে। তবে এমন অনেক পেশা রয়েছে যেখানে পুজোয় ছুটি নেই কিংবা থাকলেও হাতে গুনে দু-এক দিন। তবে তাতে কী! যতই কাজ থাকুক, বছরের এই সময়টায় বাঙালিকে নিয়মের বেড়াজালে আটকে রাখে কার সাধ্যি। তাই কাজ থাকলেও ঠিক সময় বার করে প্যান্ডেল হপিংয়ে যাওয়া চাই ই চাই। অন্তত সীমিত সময়ের মধ্যেই না হয় পুজোর আনন্দে মেতে উঠলেন! আর নতুন জামায় পরিপাটী সাজগোছ ছাড়া দুর্গাপুজো যেন অসম্পূর্ণ। অফিস শেষ করে কম সময়ে কীভাবে মেকআপ করে হয়ে উঠবেন মোমহয়ী? জেনে নিন ঝটপট মেপআপের সেই সহজ কৌশল।

মেকআপ মানেই জমকালো পোশাক নয়। হালকা শাড়ি আর খানিকটা ভারী কাজের ব্লাউজেও হয়ে উঠতে পারেন নজরকাড়া। অফিসে সারাদিন শাড়ি পরে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলে এথনিক কোনও পোশাকও বেছে নিতে পারেন। তবে একটু গাঢ় রং হলে পুজোর সাজ জমে যাবে। সঙ্গে থাকুক সাদামাটা মেকআপ আর খোলা চুল। তাহলেই সকলের মাঝে আপনার থেকে নজর সরবে না কারওর।

আরও পড়ুনঃ শখের রং করার পরই রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে চুল? পুজোয় এইসব ঘরোয়া নিয়মে যত্ন নিলেই হারাবে না চুলের জেল্লা

অফিস থেকে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হলে সকালে মেকআপ করবেন না। বিকেলে প্রথমে মেকআপ শুরুর আগে ভাল করে ক্রিম-বেসড ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর টোনার ও ময়শ্চারাইজার লাগান।

কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে লাগান প্রাইমার। চোখের নীচে কালো দাগছোপ বেশি থাকলে, অবশ্যই কনসিলার লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই ফাইন্ডেশন লাগিয়ে সারা মুখে ব্লেন্ড করুন ভালভাবে। চোখের তলায়, নাক বা ঠোঁটের পাশে যাতে ঘাম না হয়, তাই পাউডার দিয়ে সেট করে নিতে পারেন।

ভ্রূ আঁচড়ে নিন। এবার চোখে কাজল ও পোশাকের রঙের সঙ্গে মানিয়ে আইলাইনার পরুন। চাইলে মাস্কারাও দিতে পারেন। মুখ সঠিকভাবে কনট্যুর করার জন্যে গাল ও চোখের চারপাশে এঁকে নিন। তারপর একটি কনট্যুরিং ব্রাশ দিয়ে ভাল করে তা মিশিয়ে নিন। কন ট্যুার ঠিক হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

গালের দু’পাশে লালচে আভা দিতে হালকা করে ব্লাশ ব্যবহার করতে পারেন। ব্লাশ না থাকলে লিপস্টিক দিয়েই কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। গালে, নাকের উপর লম্বা করে হাইলাইটার দিলে মুখ দ্যুতিময় হয়ে উঠবে। ঠোঁটে লিপলাইনার লাগিয়ে ন্যুড লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। এতে পুরো লুকই বদলে যাবে।

চুল যেন রুক্ষ না লাগে তার জন্য ভাল করে সিরাম ব্যবহার করুন। তাহলে চুল খোলা রাখলেও বেশ সুন্দর দেখাবে। তবে চুলের জেল্লা কম থাকলে বেঁধে রাখাই ভাল। শেষে পোশাকের সঙ্গে মানানসই দুল আর নেকপিস পরে নিলেই সাজ সম্পূর্ণ। পুজো প্যান্ডেলে মধ্যমণি হয়ে উঠতে আর কী চাই!