আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীতের মুখে ক্রমশ বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। কলকাতার বেশকিছু জায়গায় মাত্রা ছাড়িয়েছে বাতাসের দূষণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দূষণ সূচকে কলকাতা পৌঁছে গিয়েছিল ২২৮-এ। মঙ্গলবার দুপুর ২.১৫ নাগাদ দূষণ সূচক ছিল ১০৯-এ। দূর্ষিত বাতাসে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অ্যাজমা, হাঁপানি, সিওপিডি রোগীদের। সুস্থ থাকতে এই সময়ে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন? জেনে নিন।

ধূমপান করবেন না। নিজেকে ধূমপানের জায়গা থেকে দূরে রাখুন।  কারণ ফুসফুসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে ধূমপান। ই-সিগারেট কখনোই বিড়ি-সিগারেটের স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়। এটিও ফুসফুসের ক্ষতি করে।

জনাকীর্ণ এবং অত্যন্ত দূষিত এলাকায় যাওয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।  কারণ এই সব জায়গায় শ্বাসকষ্ট বাড়ে।

ইনহেলার ব্যবহার করলে, সবসময়ে সঙ্গে রাখুন। অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগলে তার ওষুধপত্রও সঙ্গে রাখা জরুরি।

রান্নাঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। ঘরবাড়ি যাতে পরিষ্কার থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরে এমন এমন রাসায়নিক ব্যবহার করবেন না, যাতে তীব্র সুগন্ধি থাকে বা তীব্র ধাঁচের অন্য কোনো রাসায়নিক থাকে।

বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক কিন্তু ধোঁয়াধুলো এবং বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণ থেকেও বাঁচায়। তাই বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক খুবই জরুরি। বাইরে থেকে এলে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

বাতাসে এখন শীতের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা থেকে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। এই সময়ে ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

গুরুপাক খাবার খেলে বদহজম, অ্যাসিডিটির পাশাপাশি নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রেও কষ্ট শুরু হতে পারে। তাই খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে রঙিন ফলমূল, শাকসবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ ডায়েট রাখুন। পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। ফুসফুস ভাল রাখতে নিয়মিত শ্বাসপ্রশ্বাসের এক্সারসাইজ করুন।

হাঁপানির সমস্যা থাকলে বাধ্যতামূলকভাবে নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিন। শ্বাসকষ্টের সমস্যা অতিরিক্ত হলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।