আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বর্তমানে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবেতেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার দখলদারি। ইদানীং এআই দিয়ে বানানো ছবি প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। সম্প্রতি নামী ব্যক্তিত্বের ডিপফেকের মাধ্যমে নকল ছবি বানানো নিয়ে বেশ হইচই পড়েছে। আসলে প্রযুক্তি যত এগোবে ততই এই ধরনের ছবির রমারমা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কিছু কৌশল জানলে এআই দিয়ে বানানো ছবি আপনিও চিনতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন সেই বিষয়ে-
এআই দিয়ে বানানো ছবিতে ব্যক্তির হাত, পা ও আঙুলে অসামঞ্জস্য দেখা যায়। হাত ও পায়ের আঙুল দেখতে অস্বাভাবিক লাগে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, বিশেষ করে হাত ও পায়ের আকৃতি অন্য রকম দেখায়। অনেক সময় হাত ও পায়ের অবস্থান, দিকও ঠিক থাকে না।
মানুষের নাক বিশেষ করে মহিলাদের নাক একটু বেশিই লম্বা দেখা যায়। চোয়ালের হাড়ও খানিকটা উঁচু থাকতে পারে।
মানুষের চোখে চশমা থাকলে তার প্রতিবিম্ব ঠিক থাকে না। সাধারণত মানুষ বা অন্য কোনো বস্তুর ছায়া খুঁজে পাওয়া যায় না।
এআই ছবিতে হাত ও পায়ের আঙুল কম–বেশি, বিশেষ করে পাঁচটার জায়গায় ছ’টাও দেখা যেতে পারে। যার কোনওটা বাঁকা, কোনওটা বা অতিরিক্ত লম্বা হতে পারে।
এআই ছবি দেখে স্বাভাবিক মনে হয় না। একেবারে নিখুঁত যেন ‘অর্ডার দিয়ে বানানো’ ছবি দেখলে মনে হয়। আশপাশের স্বাভাবিক উপাদানগুলোর অনেক কিছুই অনুপস্থিত থাকবে।
ছবিটির সূত্র যাচাই করতে আপনি গুগল লেন্স, ‘রিভার্স ইমেজ সার্চ’,হাইভ মডারেশন ও ইয়ানডেক্সের মতো টুলও ব্যবহার করতে পারেন। আসলে ফেক ছবি যত বেশি ছড়ানো শুরু হয়েছে, সঙ্গে বেড়েছে এই ধরনের অ্যাপের জনপ্রিয়তাও। এসব ব্যবহার করে ছবিটি আর কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে তা খুঁজে পাওয়া যাবে।
ছবিতে কোনো টেক্সট বা বার্তা থাকলে, সেখানে গড়বড় থাকতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা করে দেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রেই। খেয়াল করলে বোঝা যাবে, ছবিটির ফোকাস একটি দিকেই রয়েছে। চারপাশের সব কিছু ঝাপসা বা বিবর্ণ লাগবে।
