আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীত চলে যেতে বসেছে। গরম যত বাড়ছে ততই বাড়ছে ঘাম এবং শরীরের দুর্গন্ধের সমস্যা। প্রসঙ্গত, ঘাম নিঃসরণ অতি প্রয়োজনীয় এবং স্বাভাবিক একটি জৈবিক প্রক্রিয়া। ঘামের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ নির্গত হয়। পাশাপাশি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের উষ্ণতা নিয়ন্ত্রিত হয়।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অতিরিক্ত ঘামের ফলে দেহে তৈরি হচ্ছে দুর্গন্ধ। সাধারণত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার বদল কমিয়ে দিতে পারে এই সমস্যা। ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে পর্যাপ্ত জল পান করার কোনও বিকল্প নেই। অতিরিক্ত ঘাম হলে সমানুপাতে পান করতে হবে বেশি পরিমাণ জলও। শরীরে জল কমে গেলে বর্জ্য পদার্থের ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফলে বাড়ে দুর্গন্ধ। শুধু জল পান করাই নয়, রোজকার খাদ্যাভাসে কিছু বদল আনলেও কমতে পারে এই সমস্যা।
নিরামিষ খাবার বেশি খেলে কিছুটা কমতে পারে দুর্গন্ধ। গরম কালে মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে বেশি খেতে হবে মরসুমি ফল ও শাকসব্জি। কমাতে হবে তেল মশলার পরিমাণও। খেতে পারেন তাজা টমেটোর রস। টমেটোতে আছে 'অ্যাস্ট্রিনজেন্ট' যা ঘর্মগ্রন্থিকে সঙ্কুচিত করে। ফলে ঘামের দুর্গন্ধ কমে।
আপেল সিডার ভিনিগার ও ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে ও দুর্গন্ধ দূর করতে বেশ কার্যকর। চাইলে এই ভিনিগার সরাসরি ত্বকের উপর ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া খাবারে আপেল সিডার ভিনিগার নিয়মিত খেলে ত্বকের পিএইচ স্তর ঠিক থাকে, কমে যায় দুর্গন্ধ তৈরির আশঙ্কা।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেটের সমস্যা কমে। পরিপাকের সমস্যা বেড়ে গেলে বর্জ্য পদার্থ নির্গত হতে সমস্যা হয়। এই ধরনের সমস্যা কমাতে কাজে আসতে পারে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। গোটাশস্য, ডালিয়া ও ওটের মতো খাবার সহজে হজম হয়। ফলে পরিপাকের সমস্যা কমে। খাওয়া যেতে পারে বেরি, অ্যাভোক্যাডো ও আপেল। তবে মাথায় রাখবেন, অতিরিক্ত দুর্গন্ধ গভীর কোনও রোগের লক্ষণও হতে পারে। যদি কোনও টোটকা কাজে না আসে সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।
