আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মহিলারা অনেক সময়েই যৌনাঙ্গের দুর্গন্ধ নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন। বেশিরভাগ সময়ে ঋতুস্রাবের আগে ও পরে গোপানাঙ্গে দুর্গন্ধ হয়। যদিও যোনির স্বাভাবিক গন্ধ প্রতিটি মহিলার আলাদা হয়। তবে যদি সেই গন্ধ তীব্র বা অস্বাভাবিক হয়, তা শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। রইল তারই হদিশ-
* নিম পাতা: নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ রয়েছে যা সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এক মুঠো নিম পাতা জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই জল দিয়ে যোনি পরিষ্কার করুন। এটি সংক্রমণ ও দুর্গন্ধ কমাতে কার্যকর।
* টকদই: টকদইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন ২ কাপ টকদই খেলে যোনির স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে।
* অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে। স্নানের সময় এক বালতি গরম জলে ২ কাপ ভিনিগার মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট বসে থাকুন। এটি যোনির পিএইচ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং দুর্গন্ধ কমায়।
* মেথি জল: মেথি হরমোনের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে, যা দুর্গন্ধের একটি বড় কারণ হতে পারে। সেক্ষেত্রে কয়েকদিন মেথি ভেজানো জল খেলে উপকার পাবেন।
* হলুদ জল: হলুদে জীবাণুরোধী উপাদান রয়েছে, সঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। হলুদ জল দিয়ে যোনি পরিষ্কার করলে যেমন দু্র্গন্ধ কমে, তেমনই সেখানকার ত্বকের রঙেরও পার্থক্য দেখা যায়।
* টি ট্রি অয়েল: প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই তেলে। কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েলকে নারকেল তেলের সঙ্গে যোনি বাইরে লাগাতে পারেন। তবে কোনও রকম অস্বস্তি হলে এই তেল ব্যবহার না করাই উচিত।
* বেকিং সোডা: স্নানের জলে আধা কাপ বেকিং সোডা যোগ করুন এবং ১৫-২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এটি যোনির দুর্গন্ধ দূর করতে এবং পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
* রসুন- রসুন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এক্ষেত্রে কাঁচা রসুন উপকার পেতে পারেন।
