আজকাল ওয়েবডেস্ক: দোল মানে শুধুই তো রং খেলা নয়, প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ, হইহুল্লোড়, জমিয়ে ভূরিভোজ। সঙ্গে ভাঙের গ্লাসে চুমুক। রঙের উৎসবের আমেজ যেন ভাঙ না খেলে ফিকে হয়ে যায়। অনেকেই এদিন দিব্যি ঠান্ডাইয়ের শরবত গ্লাসের পর গ্লাস সাবাড় করে যান। আর তারপরই যে শুরু হয় ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ঝিমভাব। তবে কয়েকটি কৌশল মানলেই সহজেই কেটে যায় ভাঙের হ্যাংওভার। রইল সেই উপায়-
১. পর্যাপ্ত জল খান- যতই আনন্দে মেতে থাকুন, হ্যাংওভার কাটাতে হলে জল না খেলে চলবে না। শরীরে জলের অভাব থাকলে হ্যাংওভার সহজে কাটতে চায় না। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। এতে শরীর আর্দ্র থাকবে এবং যাবতীয় টক্সিন বাইরে বেরিয়ে যাবে।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার খান- ভাং ছাড়াও দোলের দিন বিভিন্ন ভাজাভুজি, মশলাদার কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়েই থাকে। যার জন্য সমস্যা আরও বাড়ে। তাই বাইরের খাবার এড়িয়ে যান। স্বাস্থ্যকর পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. গরম জলে স্নান- ভাং খাওয়ার পরে শরীরের অস্বস্তি কাটাতে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করে নিন। এতে ক্লান্তিভাব কাটবে, পেশিগুলিও সচল হবে। মাথা ঘোরার মতো সমস্যা থাকলে তাও দূর হবে।
৪. আদা- আদার রস ভাঙের নেশা কাটানোর একটি কার্যকরী উপায়। খোসা ছাড়ানো আদার টুকরো মুখে নিয়ে লজেন্সের মতো খেতে পারেন। হ্যাঙ্গওভার নিয়ন্ত্রণ করতে আদার রস সাহায্য করে।
৫. লেবুর জল- শরীরে যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক লেবু। ভিটামিন সি যুক্ত এই ফল ভাঙের নেশা কাটাতেও খুব ভাল কাজে আসে। ভাঙের হ্যাংওভার কাটাতে আধ কাপ ঈষদুষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। অল্প সময়ের মধ্যে নেশা কেটে যাবে।
৬. ডাবের জল- ডাবের জলে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও ইলোক্ট্রোলাইট উপাদান থাকে। চটজলদি ভাঙের নেশা থেকে বেরতে চাইলে ডাবের জলের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
৭. গ্রিন টি- শরীরের জমে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে গ্রিন টি। ভাঙ খাওয়ার পরদিন ৩-৪ বার এই চা পান করুন। ক্লান্তিভাব কেটে যাবে।
