পুজোয় নতুন জামার সঙ্গে চাই নতুন জুতো-ও। কয়েক মাস আগে থেকেই সব জুতোর দোকানে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। তবে যতই পায়ের মাপ,গঠন ও পছন্দ অনুযায়ী কিনুন, নতুন জুতোয় পায়ে ফোসকা পড়ার চিন্তা পিছু ছাড়ে না। আর একবার ফোসকা পরলেই ঠাকুর দেখা তো দূর, হাঁটতেই ভোগান্তির শেষ নেই! তবে কি পুজোয় পুরনো জুতো পরেই কাটিয়ে দেবেন? এক্কেবারেই নয়। বরং কয়েকটি সহজ টোটকা মেনে চলুন, তাহলেই ফোসকার সমস্যা পোহাতে হবে না।
*নতুন জুতো পরার আগের রাতে জুতোর গায়ে কোনও ময়শ্চারাইজার, পেট্রোলিয়াম জেলি বা নারকেল তেল ভাল করে মাখিয়ে রাখুন। বিশেষ করে জুতোর কোনও অংশের চামড়ার সঙ্গে ত্বকের ঘষা লেগে ফোসকা পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।তাই যে অংশ ঘষা লাগছে সেখানে ভালে করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এতে জুতোর চামড়া নরম হবে।সকালে কোনও কাপড় দিয়ে মুছে পরুন সেই জুতো। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে অবশ্যই পা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
*ফোসকার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ডেড লাগান। সুযোগ পেলেই জুতো খুলে রেখে পায়ে একটু হাওয়া লাগাতে চেষ্টা করুন।ঘাম শুকোলে ফোসকা ঝুঁকি কম থাকে।এতে তাড়াতাড়ি ক্ষতও ঠিক হয়।
আরও পড়ুনঃ পুজোর সাজ যেমনই হোক, সেলফিতে করুন বাজিমাত! কোন কৌশলে নিঁখুত নিজস্বী তুলবেন?
*ফোসকা থেকে তৈরি হওয়া ক্ষতে দিনে বার তিনেক মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে লাগান। ফোস্কা শুকোতে এটা খুব ভালে কাজ করে।
*জুতো কেনার আগে শুধু স্টাইলের কথা চিন্তা করলেই মুশকিল। জুতোর গুণগতমান বুঝে নিন। দেখে নিন জুতোর চামড়া সঠিক কিনা।গোড়ালির আরামের ব্যাপারটিও খেয়াল রাখা দরকার।

*অ্যালোভেরা ফোসকা সারিয়ে তুলতে কার্যকর। অ্যালোভেরার ক্ষত কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। ক্ষতস্থানের ফোলাভাব এবং জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে। ফোসকা জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। জেল শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।দিনে তিন বার লাগালেই অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
*গ্রিন টি-রও ক্ষত কমানোর ক্ষমতা আছে। এটি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। গরম জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি টি ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন।তারপর ব্যাগটি ঠান্ডা হতে দিন।টি ব্যাগটি নিয়ে ফোসকার জায়গায় বেশকিছু ক্ষণ লাগিয়ে রেখে দিন।বেকিং সোডার অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।দিনে দু’তিনবার করলেই সুফল মিলবে।
*ফোসকা কমাতে বরফের সেঁক দিতে পারেন।একটা কাপড়ে বরফ বেঁধে নিন।সেটি ফোসকার উপর আলতো করে চেপে রাখুন। ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। টানা ১০-১৫ মিনিট বরফের সেঁক দিন। এতে অনেকটা জ্বালা কমবে। ফোসকার ব্যথা থেকেও আরাম পাবেন।
