আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঝাল কোনও স্বাদ নয়। ঝাল আসলে জিভের প্রদাহ। অনেকেই তাই ঝাল এড়িয়ে চলেন। কিন্তু জানেন কি, এই ঝাল খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে একাধিক শারীরিক উপকারিতা? সাম্প্রতিক গবেষণা এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিমিত পরিমাণে ঝাল খাবার খেলে আমাদের শরীরের জন্য তা নানাভাবে উপকারী হতে পারে। 

১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ঝাল খাবারের অন্যতম প্রধান উপাদান লঙ্কায় থাকা ক্যাপসাইসিন। এই ক্যাপসাইসিন মেটাবলিজম বা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে ক্যালোরি দ্রুত পুড়তে থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যাপসাইসিন ক্ষুধা কমাতে এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা পরিমিত পরিমাণে ঝাল খাবার খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত ঝাল খাবারে হিতে বিপরীত হতে পারে।

২. হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায়: ঝাল খাবার হৃদপিণ্ডের জন্যও উপকারী। ক্যাপসাইসিন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তনালীতে চর্বি জমার প্রবণতা কমে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। এছাড়াও, ক্যাপসাইসিন রক্ত সঞ্চালন ভাল করতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিকভাবে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তবে উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ঝাল খাবার খাওয়া উচিত।

৩. ব্যথা উপশমে কার্যকর: ক্যাপসাইসিন একটি প্রাকৃতিক ব্যথা উপশমকারী হিসেবেও পরিচিত। এটি স্নায়ুতন্ত্রের ব্যথা সংকেতকে অবরুদ্ধ করতে পারে, যার ফলে ব্যথার অনুভূতি হ্রাস পায়। আর্থ্রাইটিস বা পেশীর ব্যথার মতো সমস্যায় ক্যাপসাইসিনযুক্ত মলম বা ক্রিম ব্যবহার করা হয়। একইভাবে, পরিমিত পরিমাণে ঝাল খাবার খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। তবে, ঝাল খাবার সরাসরি কোনও রোগের চিকিৎসা নয়, এটি শুধুমাত্র উপসর্গ উপশমে সহায়ক হতে পারে।