আজকাল ওয়েবডেস্ক: কবি বলেছেন, “জীবন যেন দক্ষিণখোলা ঝুলবারান্দা হয়।” শুধু কবি, শিল্পী বা সাহিত্যিক নন, বাড়ির একচিলতে ব্যালকনিটুকু মনের মতো করে সাজিয়ে তুলতে চান অনেকেই। সেই সাধ পূরণের জন্য রইল বাড়ির ব্যালকনি সাজিয়ে তোলার পাঁচটি কৌশল।

১.  সবুজের সমারোহ: ব্যালকনিতে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগিয়ে একটি মনোরম পরিবেশ তৈরি করুন। ছোট থেকে মাঝারি আকারের টবে মরশুমি ফুল, লতানো গাছ (মানি প্ল্যান্ট, মর্নিং গ্লোরি), বা ছোট ফলের গাছ (যেমন লেবু বা পেয়ারা) লাগাতে পারেন। উল্লম্ব বাগান বা ঝুলন্ত টব ব্যবহার করে জায়গার সাশ্রয় করতে পারেন। গাছের সঠিক যত্ন নিন এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নিশ্চিত করুন।

২.  আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা: ব্যালকনির আকার অনুযায়ী বসার ব্যবস্থা করুন। ছোট ব্যালকনির জন্য ফোল্ডিং চেয়ার, মোড়া বা বেতের টুল ব্যবহার করতে পারেন। বড় জায়গা থাকলে একটি ছোট কফি টেবিলের সঙ্গে বেতের সোফা বা ডিভান রাখতে পারেন। আরামের জন্য কুশন এবং থ্রো ব্যবহার করুন। আবহাওয়ার উপযোগী আসবাবপত্র বেছে নিন।

৩.  আলোকসজ্জা: সঠিক আলোকসজ্জার মাধ্যমে ব্যালকনির সৌন্দর্য বহুগুণ বাড়ানো যায়। নরম এবং উষ্ণ আলো ব্যবহার করুন। স্ট্রিং লাইট, লণ্ঠন, ফেয়ারি লাইট, বা সৌর আলো ব্যবহার করে সন্ধ্যায় একটি স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি করতে পারেন। প্রয়োজনে ওয়াল ল্যাম্প বা স্পটলাইটও ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪.  মেঝে এবং দেওয়ালের সজ্জা: ব্যালকনির মেঝেতে কৃত্রিম ঘাস, আউটডোর রাগ বা রঙিন টাইলস ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি ব্যালকনিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। দেওয়াল সাজানোর জন্য আউটডোর পেইন্টিং, ওয়াল হ্যাংগিং বা বাঁশের চিক ব্যবহার করতে পারেন। ব্যক্তিগত ছোঁয়া দিতে উইন্ড চাইম বা ছোট মূর্তি রাখতে পারেন।

৫.  ব্যক্তিগত রুচি ও ব্যবহারিক দিক: ব্যালকনিটিকে আপনার ব্যক্তিগত রুচি অনুযায়ী সাজান। যদি আপনি বই পড়তে ভালোবাসেন, তাহলে একটি ছোট বুকশেলফ রাখতে পারেন। যদি আড্ডা দিতে পছন্দ করেন, তবে বসার জায়গাকে প্রাধান্য দিন। এছাড়া, মশা তাড়ানোর জন্য সিট্রোনেলা গাছ বা কয়েল ব্যবহার করতে পারেন। খেয়াল রাখুন যেন সজ্জা খুব বেশি না হয়ে যায় এবং চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী শেড বা আচ্ছাদন ব্যবহার করে রোদ-বৃষ্টি থেকে সুরক্ষার বন্দোবস্ত রাখুন।