আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাধের ঘরখানা যেমনই হোক, সেই গৃহকোণকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে কার না মন চায়? কিন্তু বাড়ি সুন্দর করে তোলার অর্থ শুধু নতুন জিনিস সংযোজন নয়। অপ্রয়োজনীয় ও শ্রীহীন জিনিস সযত্নে বর্জন করাও অন্দরসজ্জার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কাজেই কিছু জিনিস বাতিল করে দেওয়ার মাধ্যমেও একটি সাধারণ বাড়ি অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে। বর্তমানে অনেকেই অব্যবহৃত জিনিস কমিয়ে ‘মিনিমালিস্টিক’ অন্দরসজ্জার দিকে ঝুঁকছেন।

১. অনেক সময় ঘর সাজানোর নামে এমন অনেক সামগ্রী বাড়িতে আনা হয় যা আদতে সুরুচির পরিচায়ক নয় – যেমন নকল ফুলদানি, নিম্নমানের প্লাস্টিকের শোপিস, অথবা এমন কোনও শিল্পকর্ম যা আপনার ব্যক্তিত্ব বা গৃহের সামগ্রিক আবহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই ধরনের বস্তুগুলি সরিয়ে ফেললে একটি নির্মল ও রুচিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

২.  দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস, যেমন – রান্নাঘরে ছড়ানো-ছিটানো মশলার কৌটো, স্নানঘরে এলোমেলোভাবে রাখা প্রসাধন সামগ্রী বা বসার ঘরের কোণে স্তূপীকৃত অব্যবহৃত ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের তার – এহেন জিনিসপত্র সামগ্রিক ভাবে বাড়ির সৌর্ন্দয্য ক্ষুণ্ণ করে। এই বস্তুগুলিকে সুসংগঠিতভাবে রাখুন। যেগুলি ফেলে দেওয়া যায় সেগুলি ফেলে দিন। আড়ালে রাখতে চাইলে নান্দনিক স্টোরেজ ব্যবহার করুন, তাতে ঘরের শ্রী বৃদ্ধি পাবে।

৩.  বিবর্ণ বা ছিঁড়ে যাওয়া পর্দা, পুরনো ও দাগযুক্ত সোফার কভার, অথবা ঘরের রঙের সঙ্গে বেমানান কুশন কভার একটি সুন্দর ঘরকেও ম্লান করে দিতে পারে। এই ধরনের সামগ্রী নিয়মিত সাফ করুন কিংবা সেগুলি জীর্ণ হয়ে গেলে তার বদলে রুচিসম্মত এবং গৃহের অন্যান্য আসবাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন পর্দা কিংবা কভার ব্যবহার করুন।

৪.  বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার দেওয়া ক্যালেন্ডার, প্রচারমূলক পোস্টার বা অন্যান্য স্বল্পস্থায়ী সামগ্রী অনেকসময় বাড়িতে থেকে যায়। যা গৃহের স্থায়ী সজ্জার অংশ হওয়ার মতো নয়, সেগুলি সরিয়ে ফেলা উচিত। এর পরিবর্তে শিল্পগুণ সমৃদ্ধ ছবি বা রুচিশীল দেওয়াল সজ্জা ব্যবহার করতে পারেন।

৫.  পুরনো, অকেজো কম্পিউটার মনিটর, বিকল হয়ে যাওয়া রান্নাঘরের সরঞ্জাম, বা বহু পুরনো সিডি/ডিভিডি-র কালেকশন – এগুলি আধুনিক অন্দরসজ্জার সঙ্গে বেমানান। এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন জিনিস সরিয়ে ফেললে স্থান সংকুলান হয় এবং ঘর পরিচ্ছন্ন দেখায়।