আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কালীপুজো শুধু আলোর উৎসব নয়। ছোটদের থাকে বাজি পোড়ানোর আনন্দ। শামিল হন বড়রাও। যতই আইনের কড়াকড়ি থাকুক, দীপাবলির রাতে বাজির ধোঁয়ায় মুখ ঢাকে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র। সঙ্গে রয়েছে যানবাহনের ধোঁয়া। কালীপুজোর পর থেকেই বেশ কয়েক দিন বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি থাকে। বাড়িতে থাকলেও দরজা-জানলা খোলার উপায় নেই। দূর্ষিত বাতাসে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে অ্যাজমা, হাঁপানি, সিওপিডি রোগীদের। ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে এই সময়ে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন? জেনে নেওয়া যাক-
কালীপুজোর পর কয়েক দিন বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে অনেকটাই ফুসফুসের সুরক্ষা মিলবে। যারা ইনহেলার ব্যবহার করেন, এই সময় তাঁরা হাতের কাছে ইনহেলার রাখুন। অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগলে ওষুধপত্রও সঙ্গে রাখা জরুরি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা অতিরিক্ত হলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গুরুপাক খাবার খেলে বদহজম, অ্যাসিডিটির পাশাপাশি নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রেও কষ্ট শুরু হতে পারে। তাই খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। শরীরে জলের ঘাটতি হয়ে যাতে ডিহাইড্রেশন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাতাসে এখন শীতের আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই দ্রুত ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা থেকে বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট। এই সময়ে ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ঘরের মধ্যে মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালাবেন না। পরিবর্তে টুনি-এলইডি জ্বালাতে পারেন। কারণ প্রদীপ-মোমবাতি কিংবা ধূপ-ধুনো জ্বালালে অক্সিজেনের পরিমান কমে গিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ঘরে সুগন্ধি রুম ফ্রেশনারের পরিবর্তে টাটকা ফুল ব্যবহার করতে পারেন।
