আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আধুনিক জীবনে অফিস, সংসারের দায়িত্ব, বাইরের কাজ— সব কিছু সামলে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় আর থাকে না। কিন্তু একটা বয়সের পর মহিলা এবং পুরুষ, উভয়েরই শরীরের প্রতি বাড়তি নজর রাখা জরুরি। আসলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেহের শক্তি কমতে থাকে, দেখা যায় নানা শারীরিক সমস্যা। একইসঙ্গে ইদানীং অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস সহ একাধিক কারণে অল্প বয়সেই জাঁকিয়ে বসছে ক্রনিক অসুখ। তাই শুধু ওষুধের উপর ভরসা না রেখে খাদ্যাভাসের উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের হাতের কাছে এমন অনেক খাবার রয়েছে তা নিয়মিত খেলে অনেক জটিল রোগ দূরে রাখা যায়।
চর্বিযুক্ত মাছঃ বেশি পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে চর্বিযুক্ত মাছে। যা খেলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি, ভাল থাকে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য। তাই রোজের পাতে বিভিন্ন ধরনের মোটা তেল যুক্ত মাছ রাখার চেষ্টা করুন।
গোটা শস্যঃ গম, ব্রাউন রাইস, যব, ওটস, কিনোয়া ইত্যাদি গোটা শস্যগুলি ফাইবার এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এই ধরনের খাবার খেলে হজমশক্তি বাড়ে, রক্তে শর্করার কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরও পড়ুনঃ পিঠ-কাঁধের ব্যথা কমাতে বালিশ ছাড়া ঘুমোন? সত্যি কি এতে লাভ হয় নাকি উল্টে ক্ষতি করছেন শরীরের?
বাদাম-বীজঃ ব্রেকফাস্ট কিংবা বিকেলের স্ন্যাকসে আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড ইত্যাদি খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিন সরবরাহ করে এই সব খাবার।
ছোলা ভাজাঃ প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার ছোলা ভাজা। এটি হজমে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সহায়ক, এবং হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। ছোলা প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের একটি ভাল উৎস, যা শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খেলে ক্লান্তি দূর হয়। শরীরে দুর্বলতা অনুভব করলে ছোলা ভাজা খেলে উপকার পাবেন।
ব্রকোলিঃ ব্রকলি একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ, যা ক্যানসার প্রতিরোধ, হৃদরোগ থেকে সুরক্ষা, হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং সার্বিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। ব্রকলিতে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতাকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। ব্রকলি কাঁচা বা রান্না করে দু'ভাবেই খাওয়া যেতে পারে। তবে হালকা ভাপে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।

এলাচঃ ভারতীয় রান্নাঘরে অত্যন্ত পরিচিত মশলা হল মশলা। যার প্রচুর স্বাস্থ্যের উপকারিতা রয়েছে। ঘুমের সমস্যা সমাধান করতে পারে এলাচ। রাতে ঘুমানোর আগে মুখে দুটি এলাচ রাখুন, ভাল করে চিবিয়ে তারপর হালকা গরম পানি পান করুন। এটি নিয়মিত করলে কয়েকদিনের মধ্যেই হাতেনাতে ফল পাবেন।
সবুজ মুগঃ নিরামিষাশীদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে সবুজ মুগ। এটির পেশি মজবুত রাখতে, কোষ গঠনে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভেজানো মুগে মেলে ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম। দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে মুগ। শরীরচর্চার পর কিছুটা ভেজানো মুগ খেতে পারেন।
ডার্ক চকোলেটঃ সাধারণত চকোলেটের পরিবর্তে ডার্ক চকোলেট ভাল থাকবে হার্ট। ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট রক্ত সঞ্চালনকে ঠিক রাখে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
