আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ গণেশ চতুর্থী। গণেশ উৎসব প্রতি বছর গণেশ চতুর্থীর সঙ্গে শুরু হয় । চতুর্থী গণেশের জন্মতিথি হিসাবে পালিত হয়। শাস্ত্র মতে যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে গণেশের পুজো করা দরকর। গণেশকে ভোগ দিয়ে সন্তুষ্ট করে তবেই শুভ কাজ শুরু করেন এমন অনেকেই আছেন। শিব ও পার্বতীর ছোট পুত্র গণেশ মঙ্গলমূর্তি, গজানন, গণপতি নানা নামে পরিচিত। দুর্গাপুজোর শুরুতেই যে কারণে কলা বৌ স্নান করানো হয়। এছাড়াও আমাদের দেশে অনেক গণেশ মন্দির রয়েছে। বলা হয়, গণেশকে দর্শন করলেই সকলের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।
শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান গণেশ সমস্ত ধরনের বাধা দূর করে থাকেন। শুধু পুজো নয়, গণেশ চতুর্থীতে সারা দিন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবনে আসে সুখ সম্বৃদ্ধি। সহজেই উন্নতি সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারা যায়। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেইসব নিয়ম।
১. এই দিন বাড়িতে গণেশের মূর্তি স্থাপন করুন। মূর্তির আসন পূর্ব দিকে বা উত্তর দিকে স্থাপন করলে ভাল হবে।
২. গণেশ পুজোর দিন ১০৮ বার গণেশ মন্ত্র পাঠ করুন।
৩. বাড়ির প্রবেশদ্বারে অবশ্যই বাম দিকে শূঁড় বাঁকানো গণেশের মূর্তি রাখুন, এতে শুভ শক্তি বজায় থাকে।
৪. গণেশের মূর্তির শূঁড় যদি ডান দিকে থাকে তা হলে এই ধরনের মূর্তি পুজো করা উচিত নয়। কারণ এই মূর্তি পুজোয় ত্রুটি হলে তাঁর ফল ভয়ানক হয়। সেক্ষেত্রে এই ধরনের মূর্তি ঘর সাজানোর জন্য ভাল।
৫. স্থাপনের পর মূর্তির দু’পাশে একটি করে সুপারি, কমলা সিঁদুর মাখিয়ে রাখুন।
৬. গণেশ আরতির সময় ২১টি পাটালি গুড়ের টুকরো কিংবা একটি থালায় ২১টি গুড়ের নৈবেদ্য সাজিয়ে নিবেদন করুন। সেই সঙ্গে ২১ টি দুর্বা।
৭. গণেশপূজোর দিন হলুদ রঙের মিষ্টি নিবেদন করুন। এতে সংসারে সুখ শান্তি আসবে। ঘরে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারবে না।
৮. গণেশকে পায়েস নিবেদন করলে খুবই তুষ্ট হন সিদ্ধিদাতা। সংসারে থাকে না কোনও দুঃখ, কষ্ট। ভাঁড়ার থাকে পূর্ণ।
৯. কথিত রয়েছে, এই দিন যদি হাতিকে সবুজ ঘাস খাওয়ানো যায়, তাহলে জীবন থেকে নানা সঙ্কট দূর হয়।
১০. বাড়িতে বিবাহযোগ্য কেউ থাকলে পুজোয় গণেশকে মালপোয়া নিবেদন করুন।
