আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীর ভাল রাখতে আজকাল প্রায় প্রত্যেকেই খানিকটা স্বাস্থ্য সচেতন। রোজকার ডায়েটে কার কতটা ফ্যাট, কতটা প্রোটিন, কতটা ক্যালোরি—তা নিয়েও হিসেব কষছেন অনেকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়, কখন খাচ্ছেন, সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য সময়মতো খাওয়া-দাওয়া আরও জরুরি।

অনেকেই ভাবেন, বিকেলের জলখাবার মানেই হালকা কিছু খাওয়া, কিন্তু অজান্তেই সেখানে চলে আসে এমন কিছু পদ, যা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকারক। বিকেল ৫টার পর এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি এড়িয়ে না চললে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল-এর মাত্রা বাড়তে পারে।

১. ভাজাভুজি
মুগডাল বা বেসনের বড়া, পেঁয়াজি, চপ, শিঙ্গারা
বিকেলের জলখাবারে এইসব ভাজাভুজির চল বাঙালি ঘরে বহু পুরনো। কিন্তু এই সব খাবারে থাকে উচ্চমাত্রার ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কেবল ওজনই নয়, বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরলের মাত্রাও। পুরোনো তেলে একাধিক বার ভাজা হলে সেই তেলে ‘অক্সিডেটিভ স্ট্রেস’ তৈরি হয়, যা হৃদযন্ত্রের পক্ষেও ঝুঁকিপূর্ণ।

২. প্রক্রিয়াজাত মাংস (প্রসেসড মিট)
চিকেন নাগেটস, সসেজ, সালামি, বা বার্গারে ব্যবহৃত মাংস—সবই প্রসেসড। এতে থাকে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম, প্রিজারভেটিভ ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিতে পারে। বিকেলের নাস্তায় হালকা মনে করে এইসব খেলে বিপদ বাড়তে বাধ্য।

৩. মিষ্টি ও বেকারি দ্রব্য
কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, বা মিষ্টি—এসব যে কেবল চিনিতে ঠাসা, তা-ই নয়, এর অনেকগুলোতেই থাকে মার্জারিন বা বনস্পতি ঘি, যা ট্রান্স ফ্যাটে ভরপুর। সন্ধ্যার দিকটায় শরীরের বিপাক হার (মেটাবলিজম) কমতে থাকে, ফলে এই জাতীয় খাবার হজম হয় না ঠিকমতো এবং সরাসরি প্রভাব ফেলে কোলেস্টেরলে।

৪. চিজ ও ক্রিমযুক্ত ‘ফাস্ট ফুড’
পিজ্জা, পাস্তা বা স্যান্ডউইচ—যেখানে প্রচুর পরিমাণ চিজ ও ক্রিম ব্যবহার করা হয়, সেগুলিও বিকেলে খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। চিজ মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর। বিকেলের পর শরীর যখন বিশ্রাম নেওয়ার দিকে যায়, তখন এমন ফ্যাট হজম করতে না পেরে রক্তবাহে জমে যায় এবং বাড়িয়ে তোলে কোলেস্টেরলের মাত্রা।