আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষা মানেই ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। আর তাতে সব থেকে বেশি ঘায়েল হয়ে পড়ে শিশুরা। কারণ তাদের ইমিউনিটি সিস্টেম তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। এমনিতেই বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়া অস্বাভাবিক নয়। দাবি চিকিৎসকের। এই অবস্থায় অভিভাবক হিসেবে আপনাদের কী করণীয়?
শিশুরা বা পড়ুয়ারা ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার সবথেকে বড় কারণ হল, স্কুলে বা টিউশনে তারা অনেকের সঙ্গে থাকছে। এবং অনেকটা সময় থাকছে। মাঠে খেলছে। সেখানে কারও থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া খুবই সহজ।
১. হ্যান্ড হাইজিন মেনে চলতে হবে। স্কুলে যাওয়ার আগে বা টিউশনে যাওয়ার আগে এটা ওদের ভাল করে বুঝিয়ে দিন। হাত না ধুয়ে টিফিন খাওয়া যাবে না। টয়লেটে গেলেও হাত ধুতে হবে। হাঁচি কাশির সময় রুমাল ব্যবহার করতে হবে। অকারণে চোখে, মুখে হাত দেওয়া যাবে না। খুব ভাল হয় যদি মাস্ক ব্যবহার করতে পারে।
২. সার্বিক সুস্থতার উপর ব্যালেন্স ডায়েটের ভূমিকা অনেকটাই। আপনি সারাদিনই যা খান সেটাই প্রতিফলিত হয় আপনার শরীরে। সন্তানদের পুষ্টিকর খাবার দিন। জাঙ্কফুড বা ফাস্টফুড থেকে ওদের দূরে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে এই বর্ষার সময়। সকালে ওদের কাড়া বানিয়ে দিন। এতে ওদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
৩. জল জমে এরকম মাঠে ওদের খেলতে পাঠাবেন না। অপরিষ্কার সুইমিংপুল থেকেও দূরে রাখুন ওদের। এইসব জায়গাগুলো মশাবাহিত রোগের আস্তাকুঁড়।
৪. শরীর সুস্থ রাখতে ওদের রোদে শুকানো জামা কাপড় পরান। বর্ষার সময় চারপাশ স্যাঁতস্যাঁতে হয়। জামা কাপড় ভিজে থাকলে প্রয়োজনে আয়রন করে নিন। এতে ওদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমবে অনেকটাই।