আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৭ বছরের দু’জন ছাত্রের সঙ্গে উন্মত্ত সঙ্গম করছেন শিক্ষক, আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখছে তৃতীয় এক ছাত্র। এমনই কান্ড ঘটিয়েছেন ৪৩ বছর বয়সের এক শিক্ষিকা। গোটা ঘটনা নিজের মুখে স্বীকারও করে নিয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে ইজরায়েলের পেটা তিকভা অঞ্চলে। ইংরেজি শিক্ষিকা ওই মহিলার দাবি তার স্বামী সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। যুদ্ধের কারণে তিনি দীর্ঘদিন বাড়িতে আসেননি আর সেই কারণেই তিনি একাকিত্ব বোধ করছিলেন। সেই একাকিত্ব দূর করতে এই ত্রিমুখী সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু করে ইসরায়েলের সিভিল সার্ভিস কমিশন। একমাস তদন্ত করার পর ডাকা হয় শুনানি। শুনানিতে নিজেই নিজের কাজের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। শাস্তি স্বরূপ শিক্ষিকাকে শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনও কাজের থেকে আজীবন বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি শিশু অধিকার সংক্রান্ত কোনও কাজেই আগামী ৮ বছর যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। আগামী ৩ বছর তিনি কোনও ধরনের সরকারি চাকরি করতে পারবেন না বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশে।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
নিজের স্বীকারোক্তিতে শিক্ষিকা জানিয়েছেন তিনি কোনও ধরনের খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে বা ওই দুই কিশোরকে হেনস্থা করার লক্ষ্যে এ কাজ করেননি। কেবলমাত্র একবারই তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তাঁর। পাশাপাশি দুই ছাত্রের পক্ষ থেকেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে গোটা ঘটনায় সকলেরই সম্মতি ছিল। প্রসঙ্গত ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী সম্মতিক্রমে সঙ্গমের আইনি বয়স ১৬। তাই এক্ষেত্রে যেহেতু দুই ছাত্রের বয়স ১৭ তাই ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। কিন্তু কমিশনের রা য়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পেশাদারী সীমাবদ্ধতা এবং শিক্ষিকা হিসাবে নিজের পদমর্যাদার বিরুদ্ধে গিয়ে এ কাজ করেছেন অভিযুক্ত।
কমিশনে নির্দেশে আরও জানানো হয়েছে যে এই ঘটনা কেবল একদিনের নয়, ওই দুই ছাত্রের সঙ্গে আরও আগে থেকেই পেশাদারী সম্পর্কের বাইরে গিয়ে যোগাযোগ রেখেছিলেন শিক্ষিকা। প্রথমে কথোপকথন এবং তারপর একসঙ্গে ধূমপান, খাওয়াদাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁদের। এরপরই তাদের একদিন নিজের বাড়িতে ডাকেন শিক্ষিকা এবং সেখানেই সঙ্গমের ঘটনা ঘটে। গোটা বিষয়টি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয় এবং জানুয়ারি ২০২৫-এ গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: পাড়ার বৌদিদের অন্তর্বাস চুরি একের পর এক! চোরকে সামনে পেয়ে এ কী করলেন মহিলারা?
কমিশন নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, এই ঘটনা গোটা সমাজের চোখে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে এক নেতিবাচক ভাবনা তুলে ধরতে পারে। বিশেষ করে যেহেতু মা-বাবারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে নিজেদের সন্তানকে রেখে যান তাই তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা মারাত্মক উদ্বেগজনক। কমিশন আরও জানিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষিকা নিজেও একজন মা। তাঁর ৮ এবং ১১ বছরের দুই সন্তান রয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি একাধিক নাবালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাই ভবিষ্যতে অন্তত শিশু এবং শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে আর তাঁর কাজ করা চলে না। এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তর এই ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য আরও কড়া ব্যবস্থা আনতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।
