আজকাল ওয়েবডেস্কঃ জীবন এখন জীবিকাপ্রধান। অনলাইন হোক বা অফলাইন, কেবল কাজ আর কাজ। মাঝের বেশ কিছুটা সময় চুরি করে নেয় সমাজ মাধ্যম। সঙ্গে পরিবার, সন্তানের পাহাড় প্রমাণ দায়িত্ব সামলানোর চাপ। সপ্তাহান্তে ক্ষণিকের অবসরটুকু ছাড়া আজকের বাবারা হয়তো নিজেকে নিয়ে ভাবার সময়ই পান না। আসলে সময়ের সঙ্গে সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্বেও বদল এসেছে। মা-বাবা উভয় এখন যেমন কর্মরত, তেমনই সন্তানের দেখাশোনা থেকে ঘর-সংসার সামলানো, সবকিছুতেই উপস্থিতি রয়েছে বাবাদেরও। এককথায় আধুনিক যুগের বাবারা অনেক বেশি দায়িত্বশীল। কিন্তু এত কিছু সামলানো যে মুখের কথা নয়! এমনিতেই অনেক পুরুষের অনেক না বলা কথা হারিয়ে যায়, মানসিক চাপ নিয়ে প্রকাশ্যে খুব একটা কথা বলতে চান না। আর এতেই আধুনিক যুগের বাবাদের ঘিরে ধরছে উদ্বেগ-অবসাদ। কীভাবে যাবতীয় কাজ, দায়িত্ব সামলিয়ে মন ভাল রাখবেন? রইল সহজ কৌশলের হদিশ-
• চাপ স্বীকার করুনঃ নিজের মানসিক অবস্থা স্বীকার করুন। মনে রাখবেন, রোজকার জীবনে ক্লান্তি, উদ্বেগ বা বিষণ্ণবোধ করা খুবই স্বাভাবিক। আর আপনিও যে সেই চাপের মধ্যে আছেন তা যখন মেনে নেবেন, তখনই সেই চাপ মুক্ত হওয়ার উপায় খুঁজে বার করতে পারবেন।
• সঙ্গীর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগঃ যতই কাজের চাপ থাকুক, দিনের শেষে সঙ্গীর সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। দেখবেন সেখানেই অনেকটা সমস্যার সমাধান মিলে যাবে। সন্তানের স্কুল মিটিং হোক বা পরিবারের সমস্যা, সব দায়িত্ব আলোচনা করে ভাগ করে নিন। শুধু কাজ নয়, কাজের পরিকল্পনাটাও ভাগ করা জরুরি। নচেৎ একজনের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে যেতে পারে। এতে সম্পর্কেও পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও মজবুত হয়।
• অপরাধবোধ ছাড়াই নিজের যত্ন নিনঃ নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য কোনও স্বাস্থ্যঝুঁকির অপেক্ষা করবেন না। আসলে আপনি ভাল থাকলে সকলকে ভাল রাখতে পারবেন। নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, পছন্দের শখের চর্চা বা খানিকটা সময় নিজের সঙ্গে কাটানো- এই সব কিছুই মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
• অন্য বাবাদের সঙ্গে কথা বলুনঃ মনে রাখবেন, আপনি একা নন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কম-বেশি সকলেই মানসিক চাপে দিন কাটান। তাই সুযোগ পেলে পার্কে, স্কুলে বা অনলাইনে অন্য বাবাদের সঙ্গে আলাপ করুন। নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করলে বুঝতে পারবেন যে অনেকেই আপনার মতো অনুভব করেন। এতে মানসিকভাবে অনেকটা হালকা লাগবে।
• প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিনঃ মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া দুর্বলতা নয়, নিজের ও পরিবারের সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তাই যদি আপনার মানসিক চাপ খুব বেশি মনে হয়, তাহলে কাউন্সেলর বা থেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন।
• সবকিছু একা সামলানোর প্রয়োজন নেইঃ একজন ভাল বাবা মানে এমন কেউ নন, যিনি কখনও ক্লান্ত হন না। বরং তিনি নিজের বাস্তব অবস্থা স্বীকার করেন, দায়িত্ব ভাগ করে নেন এবং সকলের পাশে থাকেন।
