পুজোর আর ক’টা দিন বাকি। জামা-জুতোর নিত্যনতুন ট্রেন্ডের পসরা হাজির দোকানে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে অংশ নিতে জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। আর পুজো মানেই বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, প্রিয়জনেদের সঙ্গে গেট টুগেদার, বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা। অগোছালো ঘর নৈব নৈব চ! তাই নিজেদের নতুন সাজের সঙ্গে প্রয়োজন বাড়ির মেকওভারও।

দু-তিন দশক আগেও মা-ঠাকুমারা মহালয়ার আগে ঘর ঝাড়তে শুরু করতেন। সময়ের সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে গৃহসজ্জাতেও। তবে ঘর সাজানো মানেই অনেক খরচ, এমন ধারণা রয়েছে অনেকের মনেই। বিষয়টা সেরকম মোটেও নয়। প্রয়োজন শুধু বুদ্ধি, সৃজনশীলতা আর উপযুক্ত প্ল্যানিং, এতেই পুজোর আগে আপনার ঘর হয়ে উঠবে চেনার মধ্যেও অচেনা।


অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ- অনেক বাড়িতেই জায়গা দখল করে রাখে অপ্রয়োজনীয় জিনিস। পুজোর আগে সেগুলিকে বাদ দিন। অনেক সময় বাচ্চাদের খেলনা মেঝেতে পড়ে থাকে। স্মৃতি হিসেবে রাখতে না চাইলে কাউকে দিয়ে দিন কিংবা ফেলে দিন।


রং বদলান- ঘরের রং বদলালে এক ছটকায় নতুন লুক চলে আসে। পুজোর আগে ঘর রং করাতে পারেন।। পুরো বাড়ি না করলেও শুধু ড্রয়িং রুম বা যে কোনও ঘরের একটি দেওয়ালও রং করাতে পারেন।


পেইন্টিং রাখুন ঘরে শৈল্পিক ছোঁয়া দিতে চাইলে দেয়ালে সুন্দর আঁকা ঝোলাতে পারেন। কম খরচেই এসব পেইন্টিং বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায়। তবে বিখ্যাত শিল্পীদের কাজ সংগ্রহ করতে গেলে খরচ একটু বেশিই পড়বে। ছোট ছোট ছবি এলোমেলো করে না ঝোলানোই ভাল।

ভোল বদলাবে পর্দা- ঘরের রং হালকা হলে পুজোর আগে একটু রংচঙে পর্দা লাগিয়ে নিতে পারেন। তাহলেই একঘেয়ে ঘরের সাজে আসবে নতুনত্ব। জুটের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। নানা রঙের পাটদড়ি পাওয়া যায়, অন্য ধরনের লুক আনতে সেগুলিও ঝুলিয়ে দিতে পারেন।


ঘরের ভিতর গাছ- গাছ ভালবাসলে, পুজোর আগে নতুন ইনডোর প্ল্যান্ট কিনতে পারেন। কিছুটা হলেও ঘরে থাকবে প্রকৃতির ছোঁয়া। অবশ্যই টবের যত্ন নিতে হবে। রকমারি রঙিন টবে স্ট্যান্ড রেখে ইন্ডোর প্ল্যান্ট দিয়ে সাজাতে পারেন। গোটা বাড়িতেই বেশ পজিটিভ এনার্জি চলে আসবে।


ঘর সাজাতে ফুল- কম খরচে ঘর সাজাতে ফুলের বিকল্প নেই। ঘরে ফুল রাখলে বেশ তরতাজা লাগে। একগুচ্ছ তাজা ফুল ঘরের এক কোণায় রাখলে ভাল থাকবে মন, উজ্জ্বল দেখাবে ঘরও। চাইলে অনেক ধরনের সুন্দর কৃত্রিম ফুলও কিনে আনতে পারেন। সৃজনশীলতার ছোঁয়ায় সেজে উঠবে ঘর।


কার্পেট-চাদর- বসার ঘরের আড্ডার জায়গায় মোটা তোষক থাকলে তার উপর গাঢ় রঙের চাদর বিছিয়ে দিন। তাতে রকমারি ডিজাইনের কুশন রাখলেই দারুণ লাগবে। সঙ্গে বাড়ির কার্পেটও বদলে নিতে পারেন।


সুগন্ধির ব্যবহার- ঘরকে প্রাণবন্ত করতে এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করুন। এতে মন সতেজ হবে, ঘরও হবে সুগন্ধময়। সুগন্ধি মোমবাতিও রাখতে পারেন। আসবাবপত্রর জায়গা পরিবর্তন আসবাবপত্রের জায়গা পরিবর্তন করলেও ঘরের লুক বদলে যায়। সঙ্গে আগের থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও লাগে।‌