আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাছ একটি দারুণ সুপারফুড। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ মাছ। কিন্তু এই মাছই অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে শরীরে বেশ কিছু সমস্যা থাকলে বেশি মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক বেশি পরিমাণে মাছ খাওয়া কেন ক্ষতিকর।
* মাছে সোডিয়াম বেশি থাকতে পারে, তাই বেশি খেলে পেট ফুলে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হানা দেয়। সেক্ষেত্রে সোডিয়াম কম এমন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। মাছ রান্নাতেও কম নুন দিন।
* অনেক ধরনের মাছে উচ্চ মাত্রার পারদ থাকে। যা থেকে বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। খাবার ঠিক মতো হজম করার ক্ষমতা কমে যায়। তাই বড় সমুদ্রের মাছ যেমন টুনা, সোর্ডফিশ এবং হাঙরের উচ্চ মাত্রার পারদযুক্ত মাছ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
* মাছে খুব বেশি ফাইবার থাকে না। ফলে পেটে খারাপ ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ভারসাম্যহীনতাও হতে পারে। তাই মাছ বেশি খেলে, তার সঙ্গে শাকসবজি, ফলমূল এবং গোটা শস্যের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও রাখুন।
* কিছু মাছে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এগুলি অন্ত্রে প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস)-এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এমন মাছ খান, যাতে চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম।
* ভেরিতে চাষ করা মাছে প্রায়ই প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এগুলি পেটে গিয়ে ভাল ব্যাকটিরিয়ার ক্ষতি করে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণ এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই ভেরিতে চাষ করা মাছ সম্পর্কে সাবধান থাকুন।
* অনেকের বিভিন্ন মাছে অ্যালার্জি হয়। কারও কারও খিঁচুনি, ডায়রিয়া এবং বমি হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। এ কারণে কোনও মাছ খাওয়ার পরে অ্যালার্জি বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
