আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে কোন বাবা-মার চিন্তা না হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যায় সন্তান মন দিয়ে পড়াশোনা করলেও ঠিকমতো পড়া মনে রাখতে পারে না। বিভিন্ন কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। শুধু কি সন্তানদের পড়াশোনা? বাবা মায়েরাও তো অনেক সময় দৈনন্দিন কাজের মধ্যে ভুলে যান অনেক কিছুই। ভুলো মনের এহেন বিড়ম্বনা অনেকেই বড় হালকা ভাবে নেন। আর সেকারণেই প্রয়োজনীয় গুরুত্ব পায় না মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে এর মূল কারণ সচেতনতার অভাব। অনেকেই মনে করেন, হাজার পড়ার মাঝখানে এটা ওটা ভুলে যাওয়া শিশুদের পক্ষে অস্বাভাবিক নয়। কথাটা যে খুব একটা ভুল এমনও নয় কিন্তু বারবার পড়া সত্ত্বেও যদি পড়া মনে না থাকে তবে তা অবশ্যই চিন্তার। একই কথা প্রযোজ্য বয়স্কদের ক্ষেত্রেও। অনেকে ভেবেই নেন যে বয়সকালে মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। অথচ বিশেষজ্ঞরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে নিয়ম করে খেতে হবে কয়েকটি বিশেষ খাবার। তাতেই সতেজ থাকবে স্মৃতিশক্তি।
১. তৈলাক্ত মাছ: স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিন এবং ট্রাউটের মতো সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কোষের গঠন এবং কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের প্রদাহ কমলে ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকিও কমে।
২. বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি এবং ব্ল্যাকবেরির মতো ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি মস্তিষ্কের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। বেরি খেলে স্মৃতিশক্তি ভাল হয় এবং শিশুদের নতুন জিনিস শেখার ক্ষমতা বাড়ে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও এই ফলগুলি খুবই উপযোগী। ফলগুলি মস্তিষ্কের বয়সজনিত ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস
৩. হলুদ: হলুদে কার্কিউমিন নামক একটি শক্তিশালী যৌগ থাকে। এই যৌগটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অর্থাৎ প্রদাহ নাশক এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল বিরোধী। কার্কিউমিন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে বিভিন্নভাবে উপকৃত করতে পারে। এটি মস্তিষ্কের নতুন কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কার্কিউমিন স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং অ্যালজাইমারের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
৪. সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, কালে, ব্রকোলি এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই পুষ্টি উপাদানগুলি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। সবুজ শাকসবজি খেলে স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ ভাল হয়। এছাড়াও, এগুলি মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: পুরুষের ওই বিশেষ লোমে কুকুরের থেকেও বেশি জীবাণু থাকে! ঠিকভাবে পরিষ্কার করবেন কীভাবে? জেনে নিন ৬ টিপস
৫. বাদাম এবং বীজ: বাদাম (যেমন - কাঠবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম) এবং বীজ (যেমন - কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিয়া বীজ) ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে সমৃদ্ধ। ভিটামিন ই মস্তিষ্কের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বাদাম এবং বীজ খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়ে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
