আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওজন কমাতে একেকজন একেক রকম পন্থা অবলম্বন করেন। কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরান ট্রেডমিলে, আবার কড়া ডায়েট মেনে চলেন অনেকে। কারওর দ্রুত মেদ ঝরাতে রাতের খাবার না খাওয়ার প্রবণতাও চোখে পড়ে। ডিনার না খেলে শরীরে ক্যালোরি কম যায়, এমন ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু সত্যি কি এতে মেদ ঝরে? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।
পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, রাতে অল্প হলেও খাবার খেতে হবে। নইলে ওজন তো কমবেই না, উল্টে শরীরের বারোটা বাজতে পারে। এমনকী দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে থাকে, ফলে এনার্জির ঘাটতি হয়ে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। পরের দিন সব কাজে অনীহা আসতে পারে। রাতে না খাওয়ার অভ্যাস শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
ওজন কমাতে চাইলে বিপাক বা মেটাবলিজমে বাড়ানো জরুরি। তবে যদি রাতে খাবার না খেয়ে শুতে যান, তাহলে বিপাকের হার এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যেতে পারে। আর সেই সুবাদে ওজন কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষত, এমন পরিস্থিতিতে পেটের মেদ বাড়তে পারে। তাই ওজন কমাতে চাইলে রাতে খাবার বাদ দিলে চলবে না।
রাতে খাবার না খেলে ব্রেকফাস্টের আগে প্রায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধান থেকে যায়। আর এতটা সময় ভারী খাবার না খাওয়ার কারণে পাকস্থলী এবং অন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। যার ফলে পিছু নিতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। এমনকী পাকস্থলীতে আলসারের মতো জটিল অসুখও বাসা বাঁধতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবার বাদ দেওয়ার বদলে আর কী করতে পারেন-
• রাতের খাবার দেরিতে খেলে হজমের সমস্যা, অম্বল ও বমিভাব হতে পারে। তাই ডিনার একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন।
• ডিনারে সহজপাচ্য খাবার রাখার চেষ্টা করুন।
• ঘুমানোর অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত।
• ডিনার ও প্রাতরাশের মাঝে প্রায় দশ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা ভাল।
