আজকাল ওয়েবডেস্ক: শিশুকে স্তন্যপান করানো যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা সকলেরই জানা। সন্তানের বয়স ছয় মাস না হওয়া পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ ছাড়া আর কোনও কিছু না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসকদের মতে, জন্মের পর প্রথম কয়েক মাস স্তন্যপানে শিশু যে পুষ্টি পায় তা সারা জীবন তাকে নানা অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে।

স্তন্যপান শুধু শিশুর জন্য নয়, মায়ের জন্যও জরুরি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের যে ওজন বেড়ে যায় তা সন্তানকে স্তন্যপান করিয়ে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। অনেকেই মা হওয়ার পর ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন। দ্রুত মেদ ঝরাতে ডায়েট, শরীরচর্চার উপর ভরসা রাখেন। আর ওই ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকেই ত্বরাণ্বিত করে সন্তানকে স্তন্যপান। কারণ মাতৃদুগ্ধ তৈরি হতে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ক্যালোরি বার্ন হয়। যা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সহায়তা করে। 

২৪ জন মহিলাকে নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় অর্ধেক মহিলাই জানিয়েছেন, স্তন্যপান করানোর ফলে তাঁদের ওজন অনেকটাই তাড়াতাড়ি কমেছে এবং তুলনায় তাঁরা তাড়াতাড়ি গর্ভাবস্থার আগের চেহারায় ফিরে গিয়েছেন। অন্তত তিন মাস স্তন্যপান করালে মহিলারা এই ইতিবাচক ফল পেতে পারেন। 

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে স্তন্যপানের প্রভাব সকলের জন্য এক রকম নাও হতে পারে। কারওর স্তন্যপান করালে যেমন ওজন কমে, আবার কয়েকজনের ওজন অপরিবর্তিত থাকে, এমনকী কোনও কোনও মায়ের ওজন বাড়তেও পারে। যদিও সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর ওজন কমানোর জন্য তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রসবের পরে মহিলাদের পাঁচ থেকে ছয় কেজি ওজন কমে যায়। তারপর সাধারণত মাসে এক কেজি করে ওজন কমানোই স্বাস্থ্যকর।