আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাত দিয়ে আঙুলের গাঁট মটকালে অনেক সময়েই শব্দ হয়। কিন্তু নিজে থেকে মটকানো ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন হাড় বা গাঁটে মটমট করে শব্দ হতে পারে। আচমকা এমনটা হলে বেশ ভয় পেয়ে যান অনেকেই। নেপথ্যে কি কোনও বড় রোগ লুকিয়ে রয়েছে?

চলতি ভাষায় হাড় বা গাঁট মটকানো বলে থাকলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্রেপিটাস। বিশেষ করে শরীরের কোনও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালনার সময়েই এটি বেশি ঘটে। আর শব্দটি আসে সাইনোভিয়াল ফ্লুইডের নাইট্রোজেনের বুদবুদ থেকে। কোনও ভাবে গাঁটের মধ্যে এটি আটকে গেলে অঙ্গ সঞ্চালনার সময়ে তা বেরিয়ে শব্দ তৈরি হয়। এটি খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তবে বহু ক্ষেত্রে লিগামেন্টের সমস্যা দেখা দিলেও এই রকম হতে পারে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টগুলিতে এই ধরণের শব্দ হতে পারে। কারণ বার্ধক্যের কারণে জয়েন্টের কিছু তরুণাস্থি নষ্ট হয়ে যায়। কখনও কখনও এই শব্দগুলি ব্যথা বা ফোলা বা আঘাতের পরে শোনা যায়। সেক্ষেত্রে প্রায়ই এমন শব্দ শুনতে পেলে তার পিছনে কোনও সমস্যা আছে কিনা তা জেনে নেওয়া জরুরি। এর পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন মূলত পেশি ও গাঁটের নমনীয়তা একটু কম থাকলেই এই সমস্যা হয়। দীর্ঘক্ষণ এক ভঙ্গিতে থাকলে বা এক টানা দাঁড়িয়ে থাকার পরও গাঁট মটকাতে পারে। পেশী প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি জয়েন্টে শব্দ করতে পারে। আবার এটি বার্ধক্যজনিত কারণে কিংবা বাতের কারণেও হতে পারে।সাধারণত হাঁটুর গাঁটই সবচেয়ে বেশি শব্দ হয়। তবে কখনও কখনও পিঠ, ঘাড় ও কাঁধের হাড়েও এই ধরনের শব্দ শোনা যায়। যদি ব্যথা বা জ্বালা না করে, তাহলে এই ধরনের শব্দতে চিন্তার কিছু নেই। 

আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন বা খুব বেশিক্ষণ এক অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকেন তবে জয়েন্ট শক্ত হয়ে যেতে পারে। এর ফলে জয়েন্টগুলিতে শব্দ হতে পারে। তাই সারাদিন বসে কাজ করলে অন্তত প্রতি আধ ঘন্টায় ওঠার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্ট্রেসের কারণে জয়েন্টগুলি ফাটতে থাকে। দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য গভীর শ্বাস, ধ্যান করলে উপকার পাবেন।