গত এক মাস ধরে চলছে উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোর পর আজ কালীপুজো। দু’দিন বাদেই আসছে ভাইফোঁটা। উৎসব-পার্বনের দিনগুলোতে ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করতে রাজি থাকেন না কেউই। সঙ্গে চলে দেদার অনিয়ম, রাত জাগা, মদ্যপানও। যার প্রভাব পড়ে শরীরে। অগত্যা ফের উঁকি শুরু করে পুজোর আগে কষ্ট করে ঝরিয়ে ফেলা মেদ! তবে কিছু সহজ কৌশল মানলে উৎসবের দিনেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। রইল তারই হদিশ।
*ওজন কমানোর জন্য ব্রেকফাস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সারাদিন বাইরের খাবার খেলেও সকালে ব্রেকফাস্ট প্রোটিন সম্বৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। লাঞ্চ কিংবা ডিনার যাই খান না কেন, তার সঙ্গে স্যালাড খেতে ভুলবেন না। স্যালাড খেয়ে পেট খানিকটা ভরিয়ে নিলে, বাকি খাবার এমনিতেই কম খাবেন।
আরও পড়ুনঃ উৎসবের আলোতে অন্ধকার নেমে আসতে পারে চোখে! কালীপুজোয় চোখের ক্ষতি এড়াতে কী কী সতর্কতা মেনে চলবেন?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল মন্ত্রই হল ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ। অর্থাৎ পরিমাণে অল্প খাওয়া। পছন্দের একাধিক পদ সামনে থাকলে লাভ সামলানো মুশকিল ঠিকই। কিন্তু অল্প অল্প করে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। যদি কোনও একটি পদ বেশি খেতে ইচ্ছা হয়, তাহলে অন্য পদটি বাদ দিন।
*যে কোনও খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান। এতে খাবার ভাল হজম হয়। একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে ফেলার প্রবণতাও কমে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে খাবার হজম হওয়া দরকার। একইসঙ্গে খাওয়ার আগে অন্তত ১ গ্লাস জল খেয়ে নিন। এতে পেট কিছুটা ভরে যাবে। ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা থাকবে না।

*দ্রুত মেদ ঝরাতে হলে মাঝেমধ্যেই অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সে মুখ চালালে হবে না। বদলে স্ন্যাক্সে রাখুন ফল কিংবা যে কোনও রকমের ড্রাই ফ্রুটস।
*ওজন কমানোর জন্য ডিনারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাইরে খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তা দিনের বেলা সেরে নিন। রাতে হালকা খাবার খান।
*উৎসবের দিনগুলিতে ব্যায়ামে খাটতি হলে চলবে না। কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চাও প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন খানিকক্ষণ ঘাম ঝরাতে হবে।
