বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন তাঁর ফিটনেস ও টোনড ফিগারের জন্য পরিচিত। কিন্তু সেই ফিটনেসের রহস্য কেবল জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানো নয়, বরং বাড়িতে বেশ কিছু ব্যায়াম ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এনেই নায়িকার মতো চেহারা পাওয়া সম্ভব। দীপিকার ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালা সম্প্রতি জানিয়েছেন এমন কিছু সহজ ব্যায়ামের কথা, যার জন্য কোনও জিম, ডাম্বেল বা ট্রেডমিলের প্রয়োজন নেই, বাড়িতেই করতে পারেন৷ আর এই ব্যায়ামগুলো পেটের মেদ ঝরাতে অত্যন্ত কার্যকর।
জিম ছাড়াই ফিট থাকার ছয়টি ব্যায়াম
ইয়াসমিন করাচিওয়ালা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছয়টি সহজ ব্যায়াম শেয়ার করেছেন যা নিয়মিত করলে পেটের চর্বি কমবে, শরীর হবে হালকা ও টোনড।
কার্ল-আপস: এটি পেটের উপরের অংশের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
রিভার্স কার্ল: নিচের অংশের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম।
ক্রিস-ক্রস বা বাইসাইকেল কিক: পেটের পাশের চর্বি কমাতে দারুণ কার্যকর।
কার্ল-আপস উইথ লেগস অন টেবেলটপ: পা ৯০ ডিগ্রিতে রেখে করলে পুরো অ্যাবস সক্রিয় হয়।
স্ট্রেইট লেগ লিফটস: নিচের অ্যাবস এবং কোমরের পেশি শক্ত করে।
অল্টারনেট হিল টাজেস: পেটের পাশের অংশ টোন করে এবং মুভমেন্টে ভারসাম্য আনে।
ইয়াসমিন এই প্রতিটি ব্যায়াম ১২–১৫ বার করে তিন রাউন্ড করার পরামর্শ দেন। ব্যায়ামের মাঝে এক মিনিট বিশ্রাম নিন। নিয়মিত করলে ৩–৪ সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন।
শুধু ব্যায়াম নয়, দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাসও। ইয়াসমিনের মতে, শুধু ব্যায়াম করলেই পেটের মেদ যাবে না। এর সঙ্গে দরকার 'ক্যালোরি ঘাটতি' অর্থাৎ যতটা ক্যালোরি খাচ্ছেন, তার চেয়ে কম ক্যালোরি খরচ না করলে ফল পাওয়া যাবে না।তিনি বলেন, “যতটা খাচ্ছেন, তার চেয়ে একটু কম খাওয়াই ফ্যাট কমানোর প্রথম ধাপ। দিনে অন্তত ৮,০০০–১০,০০০ পদক্ষেপ হাঁটুন। এতে শরীরের মেটাবলিজম সক্রিয় থাকে।”

খাদ্যতালিকায় কী রাখবেন? এই ট্রেনারদের মতে, ওজন কমাতে হলে খাবারের তালিকায় রাখতে হবে—
ফ্যাটহীন প্রোটিন: ডিম, চিকেন, মাছ, টোফু, দই
ফাইবার: শাকসবজি, ফল, ওটস, ব্রাউন রাইস
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: বাদাম, অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো
জল: দিনে অন্তত ২–৩ লিটার
অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার, সফট ড্রিঙ্ক, জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত মিষ্টি এড়িয়ে চলতে হবে।
আর কী কী মেনে চলবেন
* প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট নড়াচড়া করুন। হাঁটা, নাচ, যোগব্যায়াম বা হালকা স্কোয়াট করতে পারেন।
* পর্যাপ্ত ঘুমান কারণ ঘুম কম হলে শরীরের ফ্যাট বার্নের হার কমে যায়।
* হঠাৎ করে ডায়েট বন্ধ করবেন না, এতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
* স্ট্রেস কমান। মানসিক চাপও পেটের মেদ বাড়ায়।
দীপিকা পাডুকোনের ট্রেনারের এই পরামর্শ প্রমাণ করে যে ফিটনেস মানে কেবল জিমে ঘাম ঝরানো নয়। সামান্য সচেতনতা, নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবারই পেটের মেদ কমানোর সেরা উপায়।
