আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে সকাল দেখেই বোঝা যায় দিনটা ভাল যাবে কি না। কিন্তু সারাদিন ভাল হয়ে চলার জন্য তো সকালে উঠে মনে মনে বলতে হবে সে কথা? অথচ নতুন প্রজন্মের কাছে সকালে ওঠাটা যেন এক প্রকারের শাস্তি। দেরি করে ঘুমাতে গেলে সকালে উঠতে তো কষ্ট হবেই। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু একেবারে উল্টো কথা বলছেন। তাঁদের মতে, তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। যাঁদের সকালে ওঠার অভ্যাস একেবারেই নেই, তাঁরা নিচে দেওয়া কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।

সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে:

 * ধীরে ধীরে শুরু করুন:
   * হঠাৎ করে খুব ভোরে ওঠার চেষ্টা না করে, ধীরে ধীরে ১৫-২০ মিনিট করে সময় এগিয়ে আনুন।
   * প্রথম কয়েকদিন খুব বেশি তাড়াহুড়ো না করে, অল্প সময় এগিয়ে এনে শরীরকে অভ্যস্ত করুন।

 * ঘুমের সময় ঠিক করুন:
   * প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে ঘুম থেকে উঠুন। এতে আপনার শরীরের নিজস্ব ঘড়ি (সার্কাডিয়ান রিদম) স্বাভাবিক থাকবে।
   * রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কম ঘুম হলে সকালে উঠতে কষ্ট হবে।

 * সকালের রুটিন তৈরি করুন:
   * সকালে উঠে কী করবেন, তার একটি পরিকল্পনা আগেই তৈরি করে নিন। যেমন, ব্যায়াম করা, বই পড়া বা মেডিটেশন করা। এতে সকালে ওঠার জন্য একটি লক্ষ্য তৈরি হবে।

 *নিজেকে পুরস্কৃত করুন:
   * সকালে ঘুম থেকে উঠে এমন কিছু করুন, যা আপনার কাছে আনন্দদায়ক হবে। আপনি সকালে বই পড়া, কফি পান করা অথবা আপনার প্রিয় কিছু কাজ করতে পারেন। এই অভ্যাস আপনাকে ভোরে উঠতে উৎসাহিত করবে।

 * আলোর ব্যবহার:
   * ঘুম থেকে উঠেই ঘরের পর্দা সরিয়ে দিন বা বাইরে হাঁটতে যান। সূর্যের আলো শরীরের মেলাটোনিন হরমোন কমাতে সাহায্য করে, যা ঘুম তাড়াতে সাহায্য করে।
   * সকালে যেন ঠিকমত সূর্যের আলো বা রোদ ঘরে এসে পড়ে সেই ব্যবস্থা করুন। ঘর যত অন্ধকার রাখবেন, ঘুম থেকে উঠতে তত দেরি হবে।

 * রাতে হালকা খাবার খান:
   * ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান। ভারী খাবার খেলে ঘুম আসতে অসুবিধা হতে পারে।

 * মোবাইল ফোন দূরে রাখুন:
   * ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন, টিভি বা কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন। এগুলোর নীল আলো ঘুম আসতে বাধা দেয়।

  * অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করুন:
   * কোনও পদ্ধতিতেই যদি কাজ না হয়, তবে অ্যালার্ম ঘড়ি তো রইলই। তবে ঘড়িটা অবশ্যই খাট থেকে খানিকটা দূরে রাখুন, যাতে সেটা বাজলে উঠে গিয়ে বন্ধ করতে হয়।