আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের উৎসব। আম-জাম-কাঁঠাল তরমুজের মধ্যে হয়তো মনেও পড়ে না এমন একটি ফলের কথা যা স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুই-ই রক্ষা করতে সক্ষম। ফলটি হল ‘ফুটি’ বা খরমুজ।
১. শরীর রাখে ঠান্ডা
 
 খরমুজের প্রায় ৯০ শতাংশই জল। এই ফল গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। তাপপ্রবাহ বা রোদের মাঝে বাইরে থেকে ফিরে এই ফল খেলে শরীর শক্তি ফিরে পায়। তাই গ্রীষ্মে জলের পাশাপাশি ফল হিসেবে ফুটিও খাওয়া যেতে পারে।
২. চোখের যত্নে
 
 ফুটিতে আছে বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন A-তে রূপান্তরিত হয়। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, বিশেষত গরমে চোখ শুকিয়ে যাওয়া বা জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যায় এটি খুবই উপকারী। মোবাইল বা স্ক্রিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটান? তাহলে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই গরমে ডায়েটে এই ফল রাখতেই পারেন।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
 
 খরমুজে থাকা পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ কমায়। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাঁদের জন্য এটি একপ্রকার প্রাকৃতিক ওষুধ। নিয়মিত ফুটি খাওয়া হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বজায় রাখে ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৪. ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা
 
 গ্রীষ্মে সূর্যের তাপে ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও জেল্লা হারিয়ে ফেলে। ফুটির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের গভীরে পুষ্টি জোগায়। নিয়মিত ফুটি খেলে ত্বক ঝলমলে হয়, ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা কমে। চাইলে ফ্রুট প্যাক হিসেবেও ফুটি ব্যবহার করা যায়।
৫. হজমে সহায়ক ও ওজন নিয়ন্ত্রণে উপকারী
 
 খরমুজ হালকা, সহজে হজম হয় এবং ফাইবারে ভরপুর। যাঁরা ওজন কমানোর ডায়েটে রয়েছেন, তাঁদের জন্য এটি এক আদর্শ বিকল্প। মিষ্টি স্বাদে ভরপুর হলেও এতে ক্যালোরি বেশ কম।
