আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাস্তুকলার প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান হল বাস্তুশাস্ত্র। জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য বাস্তুশাস্ত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কথিত রয়েছে, যে কোনও বাড়ির অর্থ, সম্পদ, সমৃদ্ধি নির্ভর করে বাস্তুশাস্ত্রের উপর। তাই বিশেষজ্ঞরা বাড়িতে কোনও জিনিস বা বস্তু রাখার সময় বাস্তুশাস্ত্রের নিয়মগুলি মেনে চলার পরামর্শ দেন। আসলে অনেক সময়েই কঠোর পরিশ্রম করেও যোগ্য সম্মান, অর্থ পাওয়া যায় না। সামান্য বিষয়ে পিছু ছাড়ে না অশান্তি-ঝামেলাও। সেক্ষেত্রে সামান্য একটি বাস্তুর টোটকা মানলেই ঘরে আসবে টাকা, দূর হবে সমস্ত নেগেটিভ এনার্জি। কী সেই ম্যাজিক টোটকা? জেনে নেওয়া যাক-

ঘরের কুনজর দূর করার জন্য কয়েকটি চাল, তিনচি লবঙ্গ এবং দু'টুকরো লবঙ্গ এবং এক চামচ দারচিনি গুঁড়ো নিন। এবার একটি মাটির প্রদীপে চারটি জিনিস একত্রে দিয়ে আগুন জ্বালান। সারা ঘরে প্রদীপের আগুন দেখান। প্রচলিত বিশ্বাস, রবিবার এই টোটকা ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল পাওয়া যায়। 

হিন্দু ধর্মে পূজার্চনা ও জ্যোতিষের নানান উপায় লবঙ্গের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। জ্যোতিষে লবঙ্গকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি ও অর্থ লাভের জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করা যায়। একইসঙ্গে ভারতীয় পরিবারে পূজা পার্বণে কর্পূর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস৷ কর্পূর শুধুমাত্র পুজোতেই ব্যবহার হয় তা-ই নয়, এটি বাস্তুশাস্ত্রের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান৷ বাস্তশাস্ত্রবিদেরা মনে করেন, কর্পূর জ্বালালে সংসারের প্রভূত উন্নতি হয়৷ শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে৷ পরিবারে শান্তি, অর্থভাগ্য ফেরাতে চাল ও দারচিনিও কার্যকরী।