আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’ ছবির সেই ‘চকোলেট বয়’ থেকে ‘রকেট্রি’-র বলিষ্ঠ অভিনয়, একের পর এক চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরেছেন আর মাধবন। তাঁর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে সংশয় নেই কারও। কিন্তু সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া তাঁর ছবি ‘আপ জ্যায়সা কোই’-এর পর থেকে অনুরাগীরা শুধু তাঁর অভিনয় নিয়েই নয়, আলোচনায় মুখর হয়েছেন তাঁর বয়স নিয়েও। ৫৪ বছর বয়সেও কী ভাবে তারুণ্য ধরে রেখেছেন ‘ম্যাডি’? তা নিয়েই এখন জোর চর্চা।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই জানিয়েছেন, বয়স বা পাকা চুল ঢাকার জন্য তিনি কোনও বিশেষ ট্রিটমেন্ট বা প্রসাধনীর সাহায্য নেন না। বরং, বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াটিকে তিনি সাদরে গ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুন: ‘ধরবে নাকি?’ পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন প্রযোজক! টাকার বিনিময়ে সঙ্গমও করেন কামসূত্রের নায়িকা?
আরও পড়ুন: ২৬৪৫ লিটার স্তন্য উৎপন্ন হয় বধূর শরীরে! 'রোজ রাতে ৩ ঘণ্টা..' বিপুল দুগ্ধ উৎপাদনের রহস্য ফাঁস করলেন নিজেই

মাধবনের চুলের যত্নের রুটিন কেমন?
ছোটবেলা থেকে একটি অভ্যাস মাধবন আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছেন। প্রতি সপ্তাহে তেল মেখে স্নান করা। প্রতি রবিবার তিনি ঈষদুষ্ণ তিলের তেল (দক্ষিণ ভারতে এই তেল ‘নাল্লা এন্নাই’ নামে পরিচিত) দিয়ে মাথা মালিশ করেন, বিশেষ করে মাথার তালুতে। অন্যান্য দিন ব্যবহার করেন নারকেল তেল। আয়ুর্বেদ মতে, এই দুই তেলই মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং মাথার ত্বককে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
মাধবন জানিয়েছেন, বিগত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই নিয়ম মেনে চলছেন। তাঁর মতে, দামি সিরাম বা পার্লারের বিশেষ কোনও ট্রিটমেন্ট নয়, তাঁর ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের নেপথ্যে রয়েছে এই ঘরোয়া টোটকাই।

ত্বকের যত্নে নেই কোনও দামি প্রসাধনীর বাহুল্য
তারকাদের রূপচর্চার রুটিন মানেই যেখানে নামী-দামি প্রসাধনীর ছড়াছড়ি, সেখানে মাধবন একেবারেই ব্যতিক্রম। তিনি সাধারণ এবং প্রাকৃতিক উপায়েই ভরসা রাখেন। সকালে নিয়মিত গল্ফ খেলেন। গায়ে রোদ লাগাতে পছন্দ করেন। তাঁর মতে, সকালের নরম রোদ ত্বককে টানটান করতে এবং প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে তিনি খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহার করেন। শরীরকে সতেজ রাখতে নিয়মিত ডাবের জল পান করেন এবং মূলত বাড়িতে তৈরি নিরামিষ খাবারই খান। মাধবনের মতে বয়সকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দামি প্রসাধনী নয়, প্রয়োজন সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।