আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেকেই বলেন সমগ্র প্রাণীজগতে মিলনে এমন অদ্ভুত রীতি আর দ্বিতীয়টি নেই। মিলনের পর সঙ্গীর পুরুষাঙ্গ কামড়ে ছিঁড়ে ফেলছে অন্যজন? এও কি সম্ভব? সম্ভব। বিজ্ঞানীরা বলেছেন শুধু সম্ভবই নয়, এমনটাই ঘটছে শত শত বছর ধরে।

তবে মানুষ নয়। কথা হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের শামুকের মতো প্রাণীকে নিয়ে। চলতি ভাষায় এদের বলে স্লাগ। ঠিক শামুকের মতোই ধীর গতিসম্পন্ন কেবল শামুকের খোলাটি নেই। উত্তর আমেরিকায় গিজগিজ করে এই প্রাণীটি। ১৯০০ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হ্যারল্ড হিথ প্রথমবার এই স্লাগের একটি প্রজাতির মধ্যে অদ্ভুত একটি জিনিস দেখতে পান। প্রজাতিটির নাম বানানা স্লাগ। দৈর্ঘ্যে প্রায় ছয় থেকে আট ইঞ্চি লম্বা এই স্লাগের অনেকগুলি মধ্যে দেখা যায় তাদের পুরুষাঙ্গ হয় অনুপস্থিত নয়তো খুবই খর্বকায়। অথচ তাদের পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় ইঞ্চির কাছাকাছি হওয়ার কথা।

ঠিক কেন এমন হচ্ছে তা পরীক্ষা করার জন্য প্রায় স্লাগ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায় এই প্রজাতির স্লাগের দেহে নারী এবং পুরুষ উভয়ের জননাঙ্গ একই সঙ্গে উপস্থিত থাকে। বংশবৃদ্ধির সময় দু'টি স্লাগ পরস্পরের কাছে আসে এবং একটির পুরুষাঙ্গ অপরটির স্ত্রী জননাঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করে। এই অবস্থায় প্রাণীগুলি বেশ কয়েকঘণ্টা থাকে। কিন্তু এরপরেই ঘটে আশ্চর্য একটি ঘটনা। যখন একটি স্লাগ অন্যটির দেহ থেকে পুরুষাঙ্গ বার করতে যায় তখন সেই স্লাগটি পুরুষাঙ্গ কামড়ে ধরে এবং পুরুষাঙ্গ ছিঁড়ে ফেলে।

ঠিক কেন এমন হয়? বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ মনে করেন এটা বিবর্তনের একটি ধারা। সম্ভবত শুক্রাণু যাতে দেহের বাইরে বেরিয়ে না যায় তার জন্যেই এমন করে স্লাগ। তবে নিশ্চিত ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না কেউই। একশো বছর পেরিয়ে গেলেও এই মিলনপদ্ধতি আজও একটি অজানা প্রাকৃতিক বিস্ময় হয়ে রয়ে গিয়েছে।