আজকাল ওয়েবডেস্ক: নারীর গোপনাঙ্গের সঙ্গে আপনার প্রিয় পানীয় বিয়ারের এমন একটা মিল আছে, যা শুনলে চমকে উঠবেন। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের তথ্যানুযায়ী, সুস্থ নারীর যোনিপথের স্বাভাবিক পিএইচ মাত্রা থাকে ৩.৮ থেকে ৪.৫-এর মধ্যে। আর মজার বিষয় হলো, বেশিরভাগ বিয়ারের পিএইচ মাত্রাও এই একই মাত্রার কাছাকাছি—৪.০ থেকে ৫.০-এর মধ্যে। অর্থাৎ, উভয়ই ‘মাইল্ড অ্যাসিডিক’ বা হালকাভাবে অ্যাসিডিক প্রকৃতির।
নারীর যোনির স্বাভাবিক পিএইচ বজায় রাখতে সাহায্য করে উপকারী ব্যাকটেরিয়া—বিশেষত ল্যাকটোবাসিলি—যা ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। অন্যদিকে, বিয়ারের অ্যাসিডিটি নির্ভর করে ব্রিউং প্রক্রিয়া, ব্যবহার হওয়া শস্য ও ফারমেন্টেশন পদ্ধতির উপর। যেমন, ল্যাগার জাতীয় বিয়ার সাধারণত ঠান্ডা পরিবেশে ফারমেন্ট করা হয়, যা তুলনামূলকভাবে বেশি অ্যাসিডিক হতে পারে।
তবে এটা বলে রাখা ভালো, এই মিল থাকা মানেই এই নয় যে বিয়ার যোনিস্বাস্থ্যের বিকল্প হতে পারে বা তার সঙ্গে কোনও প্রকার শারীরিক প্রতিস্থাপনযোগ্যতা রয়েছে। এটি নিছকই একটি ‘বডি-ফ্যাক্ট’ বা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের চমকপ্রদ মিল। তবে, এই তথ্য সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে চুলচেরা আলোচনা। কেউ বলছেন, “তবে কি এবার থেকে প্রেমের প্রথম পর্বে বিয়ার?”—আবার কেউ কৌতুক করে লিখছেন, “নারী শরীরের স্বাদ বুঝতে হলে বিয়ারই কি যথেষ্ট?”
বিজ্ঞান বলছে, না—কিন্তু তথ্যটা মজাদার নিঃসন্দেহে!
