দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৬। চলতি বছরের শেষ সপ্তাহ চলছে যখন, সেই সময় সকলের মাথাতেই একটাই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, আগামী বছরটা কেমন যাবে? কী কী অপেক্ষা করে রয়েছে? গত ৫০০ বছরের মধ্যে সবথেকে আলাদা হতে চলেছে ২০২৬। কেন? জেনে নিন সেটাই।
মানব ইতিহাসের সবথেকে লম্বা বা দীর্ঘ সময় ধরে চলা সোলার সাইকেল বা সোলার ম্যাক্সিমার ঠিক মাঝামাঝি সময় পড়েছে ২০২৬। এর প্রভাব যেমন দেশের উপর পড়বে, তেমন ব্যক্তি জীবনের উপরেও পড়বে।
শুধু তাই নয়। গ্রহদের অবস্থানের কারণেও গত ৫০০ বছরের মধ্যে বিরলতম বছর হতে চলেছে ২০২৬। সৌরজগতের তিন শেষ গ্রহ অর্থাৎ ইউরেনাস, নেপচুন এবং প্লুটোর অবস্থান এর জন্য দায়ী। এই বছর একাধিক ফিউচারিস্টিক জিনিসের শুরু হবে বা তৈরি হবে। তবে সেসব জিনিস আপাতভাবে সকলের থেকে গোপনেই রাখা হবে।
২০২৬ সালে একাধিকবার কখনও ৩টি গ্রহ, কখনও ৪টি গ্রহ একটি রাশিতে অবস্থান করবে, যেটা সাধারণত একটি বছরে হয় না। আগামী বছরের এক তৃতীয়াংশে এক রাশিতে ৩ গ্রহের অবস্থানের সোজাসুজি বা পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে এক রাশিতে ৪ গ্রহের অবস্থানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব পড়বে ২ মাসের উপর। ভাগ্যের বদল ঘটবে। গতি বাড়বে। দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু যে কাজ সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে করা হবে না, সেটা কখনই সফলতার মুখ দেখবে না। এক এনার্জি হলে কাজ দ্রুত হবে, নইলে বাধাপ্রাপ্ত হবে। ফলে আপনি কীভাবে কাজ করছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার উপরেই সবটা নির্ভর করবে। নতুন নতুন জিনিস শুরু হবে। মনে রাখবেন ২০২৬ সালে যা ঘটবে সেটার প্রভাব অন্তত আগামী ১০ বছর থাকবে।
চেষ্টা করলে, কঠোর পরিশ্রম করলে সাফল্য এবং উন্নতি নিশ্চিত। অনিশ্চয়তার বছর নয় এটি। ফলে আপনি যেমন কর্ম করবেন, তেমন ফল ভোগ করবেন।
বিশেষ করে যাঁদের জন্মসংখ্যা ৮, ১৭ এবং ২৫ অর্থাৎ শনিদেব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন যাঁরা তাঁরা আলস্য ছেড়ে কাজে মন দেবেন। নতুন কিছু শিখুন, স্কিল বাড়ান। কাজের প্রতি সৎ থাকুন। ২০২৬ সাল সূর্যের বছর, আর সকলেই জানেন সূর্য শনির একেবারেই বনিবনা হয় না। তাই আগামী বছর আপনাদের সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ আসবে। সেগুলোও সম্মুখীন হয়ে যদি নিজের কাজ করে যান সাফল্য পাবেন। কাজের প্রতিদান মিলবে।
