আজকাল ওয়েবডেস্ক : প্রতিদিন একটি আপেল খেলেই দূরে থাকে রোগব্যাধি। ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না এমনটাই মত চিকিৎসকদের। লাল, সবুজ রঙের আপেল বাজারে সব সময় পাওয়া যায়। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ ঠেকাতে প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। তবে সমীক্ষা অনুযায়ী, পেটের গোলমাল ঠেকাতে প্রোবায়োটিক উপাদান কিংবা গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। আপেল খেলেই পেট সংক্রান্ত সমস্যা দূরে চলে যাবে।
তাই আপেল খেলে আর কী কী উপকার পাবেন সত্যিটা জেনে নিন।ফলের মধ্যে অন্যতম সেরা আপেল। একাধিক গুণের ভাণ্ডার এই ফল। স্বাদেও সেরা, মিষ্টি আপেল খাওয়ার মজাই আলাদা।
আপেলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল পাওয়া যায় যা হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, যার কারণে এটি হাড়ের জন্য ভীষন উপকারী।
ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা শরীরে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও বেশি থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে আপেল। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে আপনার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। কোলেস্টেরল বিশেষ করে খারাপ কোলেস্টেরল আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত খারাপ। কারণ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলেই আমাদের হার্ট ভাল থাকবে। নিয়মিত আপেল খেলে আমাদের কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভাল থাকে।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, তাই এই ফল রোজ খেলে আপনার ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। ভিটামিন সি কোলাজেন নামের একটি প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে। আর এই কোলাজেন আমাদের ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুল পড়ার সমস্যা কমায় কোলাজেন। চুলের বৃদ্ধিতে এবং নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি বজায় রাখে ত্বকের জেল্লা। দূর করে কালচে দাগছোপ।
তবে মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি দিনে একটির বেশি আপেল খান, তাহলে তাদের সুগারের মাত্রা বাড়তে পারে। ভিটামিন সি থাকায় অতিরিক্ত আপেল খেলে দাঁতেরও ক্ষতি হতে পারে। গ্যাস্ট্রাইটিসের রোগীরা খালি পেটে আপেল খাবেন না, তাহলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়।
