১ অক্টোবর মহানবমীতে নবরাত্রির সমাপ্তি হবে। এই বছর নবরাত্রির সূচনা যেমন অত্যন্ত শুভ যোগে হয়েছিল, তেমনই সমাপ্তিও এক অসাধারণ রাজযোগের মহাসংযোগে হচ্ছে। গ্রহ-নক্ষত্রের এই যোগ কিছু রাশির জন্য অত্যন্ত শুভ প্রমাণিত হবে।
নবরাত্রির সমাপ্তিতে একাধিক রাজযোগ গঠিত হচ্ছে— তুলা রাশিতে মহালক্ষ্মী রাজযোগ, কন্যা রাশিতে সূর্য-বুধের যুগলবন্দিতে বুধাদিত্য যোগ, বুধ নিজ রাশি কন্যাতে থাকায় ভদ্র রাজযোগ, সূর্য ও যমের নবপঞ্চম যোগ, মঙ্গল-যমের কেন্দ্র যোগ, মঙ্গল-অরুণের ষড়াষ্টক যোগ এবং গুরু-শুক্রের মিলনে অর্ধকেন্দ্র যোগ তৈরি হচ্ছে। এই যোগগুলো সব ১২ রাশিতেই প্রভাব ফেলবে, তবে ৩ রাশির জাতকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। মা দুর্গা তাঁদের অঢেল অর্থ-সমৃদ্ধি ও সুখ দান করবেন।
মোটকথা এই রাজযোগগুলি আমাদের জীবনে এমন সময়ের বার্তা দিচ্ছে যেখানে অর্থ, মানসিক শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং সম্পর্কের উন্নতি একসঙ্গে সম্ভব। এই সময় মনের শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহস যোগায়। পারিবারিক বন্ধন ও সামাজিক সম্পর্ক শক্তিশালী হয়, এবং ব্যক্তিগত জীবনে সুখ-শান্তি আসে। একই সঙ্গে, সৃজনশীলতা ও নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়, যা নতুন প্রজেক্ট, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বা ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনের পথে সহায়ক।
বৃষ রাশি:
এই রাজযোগ বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের কর্মজীবনে নতুন সুযোগ এনে দেবে। বেতন বৃদ্ধি হতে পারে। বড় অঙ্কের আর্থিক লাভে ব্যাঙ্ক ব্যালান্স বাড়বে। পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যবসায় উন্নতি হবে। পুরনো সমস্যার সমাধান হবে।
কন্যা রাশি:
কন্যা রাশিতেই বুধাদিত্য ও ভদ্র রাজযোগ গঠিত হচ্ছে, যা জাতক-জাতিকাদের অর্থের পাশাপাশি সম্মানও দেবে। মা দুর্গার কৃপায় উন্নতি হবে, জীবনে সুখ আসবে। নতুন চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে। পারিবারিক জীবন আনন্দময় থাকবে।
সিংহ রাশি:
মা দুর্গার বাহন সিংহ এবং সিংহ রাশির ইষ্টদেবীও মা দুর্গা। নবরাত্রির নবমী তিথি এই রাশির জাতক-জাতিকাদের হঠাৎ অর্থলাভ করাবে। কাজ সফল হবে। মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসার সম্প্রসারণ হবে। সময় অত্যন্ত লাভজনক থাকবে।
নবরাত্রির সমাপ্তি শুধুই উৎসবের সমাপ্তি নয়, এটি নতুন সম্ভাবনার সূচনা। এই সময়ে তৈরি হওয়া বিশেষ যোগ বা ‘শুভ সময়’ আমাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ধৈর্য এবং সচেতনতার সঙ্গে কাজ করলে আমরা যে কোনও সমস্যার সমাধান সহজে করতে পারি। এটি আমাদের মনোবল বাড়ায়, সিদ্ধান্তগ্রহণকে আরও সুসংহত করে এবং জীবনের নানা ক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনা বাড়ায়।
