শরীরে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে হোক কিংবা অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরা অতুলনীয়। এটি খাবার-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর, তেমনি বাহ্যিকভাবেও ব্যবহারযোগ্য। অ্যালোভেরা বহুদিন ধরেই ঘরোয়া রূপচর্চা এবং চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর ঠান্ডা প্রভাব, প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা ও ত্বক মসৃণ করার গুণের কারণে অনেকেই এটিকে “প্রাকৃতিক জেল” হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সকলের জন্য অ্যালোভেরা একেবারেই নিরাপদ নয়। উল্টে এটি অনেক সময় ত্বকের ক্ষতি করে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল বা যাঁদের আগে থেকেই কোনও সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ত্বকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করার আগে সতর্ক থাকুন, প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে যে সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে তা হল-

ত্বকে জ্বালা ও লালভাব: সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালোভেরা লাগালে জ্বালা, চুলকানি বা লালচে ভাব হতে পারে।

অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া: অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা ব্যবহারে র‍্যাশ, ফোলাভাব বা কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস দেখা দেয়।

শুষ্কতা: বারবার বা বেশি পরিমাণে অ্যালোভেরাব্যবহার করলে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কমে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।

সূর্যালোক সংবেদনশীলতা: কিছু ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা ত্বককে আলট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রতি বেশি সংবেদনশীল করে তোলে।

চর্মরোগ বেড়ে যাওয়া: একজিমা, রোজিয়া বা সোরিয়াসিস থাকলে অ্যালোভেরা অনেক সময় অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে।

কারা অ্যালোভেরার ব্যবহার এড়িয়ে চলবেন

*যাঁদের রসুন, পেঁয়াজ বা টিউলিপে অ্যালার্জি আছে তাঁরা বুঝেশুনে অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন।

*যাঁদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল বা আগে থেকে কোনও চর্মরোগ রয়েছে তাঁদেরও অ্যালোভেরার ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত রাখা উচিত।

*খোলা ঘা বা ফাটা ত্বকে অ্যালোভেরা ব্যবহার না করাই ভাল।

*গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলারা, বিশেষ করে খাওয়ার মাধ্যমে অ্যালোভেরা একেবারেই ব্যবহার করবেন না।

*যাঁদের কিডনির সমস্যা বা ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা আছে, তাঁদেরও অ্যালোভেরা ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত।

নিরাপদ ব্যবহারের টিপস

*নতুন করে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করুন।

*ত্বকে লাগানোর আগে খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন না।

*রোদে বের হলে অ্যালোভেরা লাগানোর পর সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

*কোনও অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হলে অবিলম্বে ব্যবহার বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।