আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরচর্চার জন্য এখন নিয়মিত জিমে যান স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিকদের একটি বড় অংশ। সংখ্যা কম নয় মহিলাদেরও। কিন্তু সেই জিমগুলিতে কি নারীসুরক্ষার যথেষ্ট বন্দোবস্ত রয়েছে? প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। জিমের মধ্যে মহিলাদের সুরক্ষা এবং সম্মান রক্ষার বিষয়ে গভীর চিন্তা ব্যক্ত করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সাকের কুমার যাদব।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

জিমে শরীরচর্চা করার সময় প্রশিক্ষক তাঁকে জাতিবিদ্বেষী গালি দেন বলে অভিযোগ করেন মিরাটের অধিবাসী এক মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ শরীরচর্চার সময় প্রশিক্ষক তাঁকে ‘চামার চামাটি’ ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করায় তাঁকে বুকে ধাক্কা দেওয়া হয় এবং জিম থেকে বার করে দেয়া হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশের কাছে মামলা দায়ের হওয়ার পরে ওই প্রশিক্ষক কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানিতেই এহেন পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের।

বিচারপতি বলেন, “এটা গভীর চিন্তার বিষয় যে বর্তমানে পুরুষ জিম প্রশিক্ষকরা মহিলাদের সুরক্ষা এবং সম্মান নিশ্চিত করতে পারে এমন কোনও ব্যবস্থা ছাড়াই তাঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।” বিচারপতি ও জানান যে এসসি-এসটি প্রিভেনশন অফ অ্যাট্রোসিটিস অ্যাক্ট ১৯৮৯-এর ৩(২)(৫) ধারায় এই মামলা চলবে। এর পাশাপাশি ৩৫৪ এবং ৫০৪ ধারায় মামলার রজু করার নির্দেশও দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

শুনানিতে অভিযোগকারিণী এও দাবি করেন, অভিযুক্ত জিম প্রশিক্ষক গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে তাঁর বান্ধবীর শরীরচর্চা করার ভিডিও তুলছিলেন। তার পর সেই ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। গোটা বিষয়টি শোনার পর মিরাটের ব্রহ্মপুরী থানাকে আরও গভীরভাবে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। জিমটির রেজিস্ট্রেশন আছে কি না, কোনও মহিলা কর্মী সেখানে কাজ করেন কি না সেসব দিকগুলিও খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর।