প্রত্যেকেই চান পরিশ্রমের পূর্ণ ফল যেন মেলে এবং জীবনে কখনও অর্থের অভাব না হয়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, বহু চেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রমের পরও টাকা ধরে রাখা যায় না বা অযথাই খরচ হয়ে যায়। তখন মানুষ ভাবে, হয়তো ভাগ্য তার সঙ্গে নেই। অথচ আসল কারণ হতে পারে ঘরের পরিবেশ ও শক্তির প্রভাব

বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ির ইতিবাচক বা নেতিবাচক শক্তি সরাসরি আপনার ধন এবং উন্নতিকে প্রভাবিত করে। যদি ঘরের পরিবেশ অনুকূল হয়, তবে শুধু অর্থ আসবে তাই নয়, দীর্ঘদিন স্থায়ীও হবে। জেনে নিন এমনই ৫টি সহজ বাস্তু টিপস, যা আপনার ঘর থেকে আর্থিক সংকট দূর করতে পারে।

মূল দরজাকে রাখুন আকর্ষণীয় এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন

বাড়ির মূল দরজা শুধু প্রবেশপথ নয়, এখান দিয়েই দেবী লক্ষ্মী এবং ইতিবাচক শক্তির আগমন ঘটে। দরজা যদি নোংরা বা ভাঙাচোরা হয়, তবে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দরজাকে প্রতিদিন পরিষ্কার রাখুন। চাইলে সুন্দর করে সাজাতেও পারেন। পাশাপাশি নামফলকও পরিষ্কার এবং স্পষ্টভাবে লেখা থাকা জরুরি। কারণ অতিথিরা যখন ঘরে প্রবেশ করেন, তাদের প্রথম দৃষ্টি পড়ে মূল দরজার উপর। তাই একে সবসময় আকর্ষণীয় রাখুন।

সিন্দুক বা ক্যাশ বাক্স রাখুন উত্তর দিকে

বাস্তু শাস্ত্রে উত্তর দিককে কুবেরের দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই সিন্দুক, ক্যাশ বাক্স বা অর্থ রাখার আলমারি এই দিকে রাখা শুভ। লক্ষ্য রাখুন, সিন্দুকের মুখ যেন ভিতরের দিকে খোলা থাকে এবং এর মধ্যে দেবী লক্ষ্মীর ছবি বা শুভ প্রতীক যেমন স্বস্তিক বা শ্রীফল রাখুন। এতে অর্থ বৃদ্ধি পায় এবং টাকা দীর্ঘদিন ধরে থাকে।

ঘরে জলের প্রবাহ সব সময় বজায় রাখুন

জলকে সব সময় সমৃদ্ধি এবং ধারাবাহিতার প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। ঘরে যদি মাটির কলসি বা অ্যাকোয়ারিয়াম থাকে, তা সব সময় পরিষ্কার রাখুন। বয়ে চলা জল অর্থের ধারাবাহিক প্রবাহ নির্দেশ করে, যেখানে স্থির বা নোংরা জল আর্থিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই নিশ্চিত করুন, ঘরের কোনও জলের উৎস স্থির বা বন্ধ না থাকে।

ভাঙাচোরা এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাইরে করুন

অনেকে ঘরে ভাঙা বাটি, খারাপ ইলেকট্রনিক্স বা অপ্রয়োজনীয় আবর্জনা জমিয়ে রাখেন। বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী এগুলো নেতিবাচক শক্তি আনতে পারে এবং সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। তাই এসব জিনিস তাড়াতাড়ি বাইরে করুন এবং ঘর সব সময় পরিষ্কার এবং হালকা রাখুন। ঘর যত পরিষ্কার থাকবে, তত বেশি ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকবে।

ঠাকুরঘরকে ইতিবাচক শক্তির কেন্দ্র বানান

ঘরের মন্দির বা ঠাকুরঘর হল সেই স্থান, যেখান থেকে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক শক্তি ছড়ায়। প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় সেখানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান এবং যদি সম্ভব হয়, ধূপকাঠি ব্যবহার করুন। এতে ঘরে শান্তি, সুখ এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে। চাইলে ঈশ্বরকে তাজা ফুলও অর্পণ করতে পারেন, যা পরিবেশকে আরও পবিত্র এবং সুগন্ধময় করে তোলে। এতে আপনার বাড়িতে সমৃদ্ধি আসবে।