আজকাল ওয়েবডেস্ক: দুর্গোৎসবে মেতেছে শহর কলকাতা। তৎপর লালবাজার। উৎসব মুখরিত শহরে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একাধিক কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে।
শহর কলকাতার দুর্গাপুজো ঘিরে পুজো মণ্ডপগুলিতে ইতিমধ্যেই ভিড় বাড়ছে। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং যেকোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবছর শহরে মোতায়েন করা হয়েছে দশ হাজারেরও পুলিশ বাহিনী। যদিও এক্ষেত্রে কোন সিভিক ভলেন্টিয়ারের কথা দশ হাজার পুলিশের মধ্যে যুক্ত থাকছে না বলেই জানিয়েছে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের সমস্ত ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার থেকে শুরু করে যুগ্ম কমিশনার ও অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা এই কলকাতার পুজোর নজরদারিতে থাকবেন। তাদের নেতৃত্বে পুজোর পাঁচদিন শহরজুড়ে রাস্তায় টহল দেবে বিপুল পুলিশবাহিনী।
কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার লালবাজারের বিশেষ নির্দেশ অনুযায়ী, এ বছরও চালু হচ্ছে দুর্গাপুজো উপলক্ষে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমেও অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলিতে বড় বড় প্যান্ডেলগুলিতে নিরাপত্তার মাত্রা আরও জোরদার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে থাকছে শহর জুড়ে ৬০টিরও বেশি ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে সরাসরি নজরদারি চালানো হবে। অন্যান্য বছর এনসিসি ক্যাডেটদের ব্যবহার করা হলেও, এবারে তাঁদের কাজে লাগানো হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কিছু জানায়নি লালবাজার।
আরও পড়ুন- পুজোর মুখে বড় খবর, সব মামলায় জামিন পেয়ে গেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি
শহরে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আগে থেকেই একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল মনোজ বর্মা। পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি থানাগুলিকে স্থানীয় দাগি দুষ্কৃতীদের ওপর বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও সম্ভাব্য ভিড় সামলাতে গোটা শহর ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
লালবাজার সূত্রে খবর, মোট ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে নজরদারি রাখতে। এছাড়াও নজরদারির কড়া ব্যবস্থা রাখতে প্রয়োজন মতো ড্রোনের ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্তা। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে কঠিন পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছে লালবাজার।
মহিলা নিরাপত্তার বিষয়টিও অতিমাত্রায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে রাস্তায় থাকবেন প্রচুর সংখ্যক মহিলা পুলিশ। যাতে কোনও মানুষ ভিড়ে হারিয়ে গেলে দ্রুত উদ্ধার করা যায়, তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ‘কর্মা’ ও ‘ট্রমা কেয়ার’ অ্যাম্বুলেন্স সর্বদা প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুলিশ পুজো উদ্যোক্তাদেরও আবেদন জানিয়েছে, যাতে তাঁরা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করেন। সব মিলিয়ে এবারের দুর্গাপুজোয় শহরবাসীর নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না লালবাজার।
আরও পড়ুন- চতুর্থীতেও বাংলায় চলবে বৃষ্টির দাপট! পুজোর পাঁচদিন কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানুন আপডেট
